ঠান্ডা মাথার ফিনিশিং, এরপর কর্নার ফ্ল্যাগের দিকে দৌড়ে গিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ভঙ্গিমায় উদযাপন। অদৃশ্য শত্রুকেই যেন জবাব দিলেন আলেহান্দ্রো গার্নাচো।
সম্প্রতি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে একেবারে তুলোধুনো করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, তাঁর পাঁড় ভক্ত গার্নাচো সেই ভিডিওতে লাইক দিয়ে বসেন আবার। উত্তাপ তখনি টের পাওয়া যাচ্ছিলো, এরপর তো শুরুর একাদশে জায়গা হারান তিনি – গুঞ্জন ছিল রোনালদোর কথায় সম্মতি দেয়াতেই বাদ দেয়া হয়েছে তাঁকে। তবে শেষমেশ জবাবটা ভালভাবেই দিলেন এই তরুণ।
লিভারপুলের বিপক্ষে লজ্জাজনক হার, এর আগে ব্রাইটনের বিপক্ষেও একই পরিণতি; সাউদাম্পটনের সাথেও পরাজয় চোখ রাঙাতে শুরু করেছিল। পেনাল্টিও পেয়ে গিয়েছিল তাঁরা, তবে এবার ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হলেন আন্দ্রে ওনানা। প্রথমে ডান দিকে ঝাপিয়ে ক্যামেরন আর্চারের শট ঠেকিয়ে দেন তিনি, এরপর তাঁর হেডারও লুফে দেন আত্মবিশ্বাসের সাথে।
সেই মুহূর্তটাই বদলে দিয়েছে পুরো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে, পরের দশ মিনিটে তাঁরা তান্ডব চালিয়েছে প্রতিপক্ষের ওপর। দ্রুতই গোলের দেখা মেলে, ব্রুনো ফার্নান্দেজের মাপা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন ম্যাথুজ ডি লিট।
সেই গোলের রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারো রেড ডেভিলদের ভয়ানক থাবা চিরে দেয় সাউদাম্পটনকে। আমাদ দিয়ালোর পাস রিসিভ করে নিজেকে খানিকটা গুছিয়ে নেন মার্কাস রাশফোর্ড, এরপরই মাটি কামড়ানো বাঁকানো শট এবং গোল। অ্যারন রামসডেলের তাকিয়ে দেখা ছাড়া করার ছিল না কিছুই।
ভাগ্য ভাল হলে বিরতির আগেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারতো ইউনাইটেড, তবে জান বেদরানেক গোললাইন ক্লিয়ারেন্স করে দলকে এবারের যাত্রায় রক্ষা করেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও একাধিকবার গোলের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল, যদিও তৃতীয় গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত।
টানা দুই হারের পর স্বস্তির জয়, আর এই জয়ে টেবিলের আট নম্বরে উঠে আসলো টেন হাগের শিষ্যরা। যদিও দুর্ভাগা বলতে হবে তাঁদেরকে। ডিফেন্সের দুই সেনানী ডি লিট এবং লিসান্দ্রো মার্টিনেজ দু’জনেই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তাই জয় পেলেও অস্বস্তি রয়ে গেলো সমর্থকদের মনে।