বিড়াল, জিরাফ, বানর কিংবা কুকুর: সবাই খুঁজছে চ্যাম্পিয়ন

প্রচলনটি শুরু হয়েছে ২০১০ দক্ষিন আফ্রিকা বিশ্বকাপ থেকে। একের পর সঠিক ভবিষ্যদ্বানী করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলো অক্টোপাস পল। এবার কাতার বিশ্বকাপেও আলোচনায় ছিলো বেশ কয়েকটি প্রাণী। ফুটবল ভক্তদের বহু প্রতীক্ষিত বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়েও জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। রবিবারের ফাইনালে কে হচ্ছে বিশ্বসেরা সেই প্রশ্নেই এখন বুঁদ হয়ে আছে পুরো ফুটবল বিশ্ব।

এর আগেই দুইবার করে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্স দুই দলই। ফ্রান্স তো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ৬০ বছর পর বিশ্বকাপে টানা দুইবার শিরোপা জেতার খুব কাছে দিদিয়ের দেশম শিষ্যরা। অন্যদিকে ৩৬ বছরের ট্রফি খড়া কাটানোর মিশন আলবিসেলেস্তেদের। এছাড়াও রয়েছে তাদের মহাতারকা লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপে তার হাতে শিরোপা তুলে দেবার দায়ও। তাই লুসাইল স্টেডিয়ামে রবিবারের ফাইনালের দিকে চোখ থাকবে পুরো বিশ্বের।

বিশ্বকাপের সম্ভাব্য শিরোপাধারী কে হবে হবে সে নিয়ে চলছে ভক্তদের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে আলোচনা। তবে শুধু ফুটবল ভক্তরাই নয়, বেশ কয়েকটি প্রাণীর ফাইনলের প্রেডিকেশনও উঠে এসেছে আলোচনায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে কুকুর, বিড়াল,কচ্ছপ, ঈগল, মাছ সহ বিভিন্ন প্রাণীর ফাইনালের ভবিষ্যদ্বাণী করা নিয়ে ভিডিও শেয়ার করছেন ফুটবল ভক্তরা।

বিশ্বকাপ শুরু সময় থেকে কাতারের বহুল পরিচিত প্রাণী ‘উট’ ও ছিলো আলোচনায়। বেশ কয়েকটি ম্যাচের সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলো সেই উট। এমমিতেই কাতারের মত আরব দেশে উট খুব পরিচিত প্রাণী। তার ওপর বিশ্বকাপের ভবিষ্যদ্বাণী করে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো সেই উট। বেশির ভাগ প্রাণীর ভবিষ্যৎ গণনা হলো, তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপ জিততে চলেছে ম্যারাডোনার উত্তরসূরীরা।

এই প্রাণীর মাধ্যমে ভবিষ্যত গণনার প্রচলন শুরু হয় অক্টোপাস পলকে দিয়ে। ২০১০ দক্ষিন আফ্রিকা বিশ্বকাপে আটটি ম্যাচে ভবিষ্যৎ গণনা করে আটটিতেই সফল হয় পল। পলের সামনে দুটি দেশের পতাকা সম্বলিত দুটি মাছের পাত্র রাখা হতো। পল যে পাত্রের ওপরে যেত সেটিকেই পলের সম্ভাব্য বিজয়ী দল ধরে নেয়া হতো। ২০১০ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেও স্পেনকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছিলো পল।

এরপর ব্রাজিল আর রাশিয়া বিশ্বকাপ হয়ে এবারের কাতার বিশ্বকাপ। বিড়াল, জিরাফ,বানর, কুকুর সহ আরো অনেক প্রাণীই পলের জায়গা নেবার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি কেউ। ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের একটি অ্যাকুরিয়ামে জন্ম নেয় অক্টোপাস পল। সাধারণ একটি অক্টোপাস দুই বছর বেঁচে থাকে। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের কয়েকমাস পরেই ২০১০ সালের ২৬ অক্টোবর মারা যায় রীতিমতো তারকা বনে যাওয়া এই অক্টোপাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link