যেখানেই স্পিনের ভয়, সেখানেই কোহলি-পূজারার রাত হয়

তৃতীয় টেস্টে বাজেভাবে হেরে এখন ব্যাক ফুটে ভারত। ইন্দোর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের ১০ উইকেটের নয়টিই নিয়েছেন অজি স্পিনাররা। বাকি উইকেটটিও ছিল রান আউট। অজি স্পিনারদের সামলাতে রীতিমত গলদঘর্ম হয়েছেন রোহিত,কোহলিরা।

প্রথম দুই টেস্টে ‘র‍্যাংক টার্নার বানিয়ে সফল হওয়ায় বাকি দুই টেস্টেও একইভাবে অস্ট্রেলিয়াকে নাস্তানাবুদ করার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল ভারত। কিন্তু ইন্দোরে তৃতীয় টেস্টে উল্টো নিজেদের খোড়া গর্তেই পড়েছে ভারত।

মাত্র সাত সেশন শেষেই নয় উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। তৃতীয় টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়াটা চূড়ান্ত হলেও ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ভাগ্য এখন ঝুলছে শেষ টেস্টের ওপর।

ইংল্যান্ডের ওভালে ৭ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে শেষ টেস্টে জিততেই হবে ভারতকে। কিন্তু তৃতীয় টেস্টে বাজেভাবে হেরে এখন ব্যাক ফুটে ভারত।

ইন্দোর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের ১০ উইকেটের নয়টিই নিয়েছেন অজি স্পিনাররা। বাকি উইকেটটিও ছিল রান আউট। অজি স্পিনারদের সামলাতে রীতিমত গলদঘর্ম হয়েছেন রোহিত,কোহলিরা। ইন্দোরের পিচ এতটাই স্পিন সহায়ক ছিল যে আইসিসি সেই পিচকে বাজে পিচ বলে রায় দিয়েছে।

ইন্দোরের মত এমন পিচ বানানোয় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের সমালোচনাও করছেন অনেকেই। স্পিনের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটারদের সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।

তবে ভারতের সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর কোহলি রোহিতদের সমালোচনাকারীদের অবশ্য ধুয়ে দিয়েছেন। গম্ভীর মনে করে স্পিন ভালো না খেললে এতদিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারতো না কোহলি,পূজারারা।

গম্ভীর বলেন, ‘আমি এই বিষয়ের সাথে একমত না যে পূজারা, কোহলি, রোহিতরা স্পিনের বিপক্ষে ভালো নয়। তারা যদি স্পিন ভালো না খেলতো তাহলে তারা ১০০ টেস্ট খেলতে পারতো না। এই ল্যান্ডমার্কে পৌঁছাতে আপনাকে পেস ও স্পিন দুইটাই ভালো খেলতে হবে। একটি জিনিস অনেক বড় পরিবর্তন এনেছে সেটি হলো ডিআরএস। ডিআরএস যখন ছিল না তখন সামনের পায়ে লাগা অনেক বলই এলবিডাব্লিউ হতো না। মানুষ অনেক সময় এই বিষয়টি বোঝে না।’

ইন্দোর টেস্ট মাত্র সাত সেশনে শেষ হয়ে যাওয়ায় সমালোচনা হচ্ছে বেশ। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের তিন টেস্টের কোনোটিই এখন পর্যন্ত চতুর্থ দিনে যায়নি। এই সমালোচনার সাথে অবশ্য একমত সাবেক এই ওপেনার।

তিনি বলেন, হ্যাঁ, টার্নিং পিচে খেলতে চাইলে ঠিক আছে। কিন্তু আড়াই দিনে টেস্ট শেষ হবার বিষয়টিকে আমি সমর্থন করতে পারছি না। আমরা আরো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চাই যেমনটা নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড টেস্টে দেখা গিয়েছে। টেস্ট ম্যাচ চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে শেষ হলেও ঠিক আছে। কিন্তু আড়াইদিন একটু বেশিই কম সময়।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...