আর্শদীপ সিংকে নিয়ে ভরসা পেতামনা আমি আর। ক্রমাগত স্যুইংয়ের আশায় স্লটে বল ফেলে যাওয়াটা আমি ভালোভাবে নিতামনা একসময়। কিন্তু, আমেরিকা-উইন্ডিজের আর্শদীপ অনেক পরিণত। ওর উইকেটসংখ্যা বেশি বলে বলছিনা।
ও কন্ডিশন বুঝতে শিখেছে। গুড লেংথ নিচ্ছে। কাটার নিচ্ছে। যে কন্ডিশনে স্যুইং হয়না, সেই কন্ডিশনেও আর্শদীপ ইফেক্টিভ এটাই ভালো লাগছে শুনতে। গত বছর সৈয়দ মুশতাক আলীর ফাইনালটা দেখেছিলেন কেউ? আর্শদীপ ইম্পর্টেন্ট মুহূর্তে উইকেট তুলেছিলেন। আর্শদীপের কামব্যাকের বোধহয় সেই-ই শুরু।
আর্শদীপকে এখন দেখতে হবে হার্ড পিচে। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে সে নিজেকে কিভাবে বদলায়। আর্শদীপকে দেখতে হবে ইংলিশ কন্ডিশনেও। স্যুইং পেলেও সেই স্যুইং কন্ট্রোল করতে পারে কিনা। ব্যাটের এজ না পেলেও ইকোনমিটা বজায় রাখতে পারে কিনা।
আর্শদীপকে মনে রাখতে হবে ওর সাথী বুমরাহ এখন বিশ্বত্রাস। সুতরাং বাকি ১৬ ওভার প্রতিপক্ষের টার্গেট। প্রতিপক্ষ অর্শদীপকে টার্গেট করতেই পারে।এরকম কন্ডিশনে আর্শদীপ কোন মতাদর্শে বিশ্বাসী হয় এটাই দেখার।
বুমরাহ-নেহরাকে মনে আছে? ভারতের টি-টোয়েন্টি র সফল জুটি। আর্শদীপ সিং,আরেক বাঁ-হাতি বোলার, প্রায় সাত বছর পরে বুমরাহকে টি টোয়েন্টিতে যোগ্য সঙ্গীর অভাব মেটাতে যাচ্ছে। সাথে টপ ফর্মের হার্দিক পান্ডিয়া কিন্তু আছেই।
একটা আর্টিকেল পড়ছিলাম আর্শদীপকে নিয়ে। সেখানে দেওয়া ছিলো গতবছর আইপিএলের একটি ম্যাচের বিশ্লেষণ। অর্শদীপের কোচ জসওয়ান্ত রাই বলেছিলেন ছেলেটা এন সি এ তে হার্ডওয়ার্ক করেছে অনেক।
রান আপ কিছুটা কমিয়েছে অ্যাকুরেসি রেট বাড়াতে। এ বিশ্বকাপেও মনে হয় আর্শদীপ রান আপ কমিয়েছে। রানিং পাথও বোধহয় পরিবর্তিত হয়েছে একটু। নো বলের সংখ্যা প্রায় শূন্য। সাথে আর্শদীপের প্রজ্ঞা তো আছেই।
দ্রাবিড় আর্শদীপকে চেনেন অনুর্ধ্ব উনিশের সময় থেকেই। দ্রাবিড়ের পরামর্শেই আর্শদীপ কাউন্টি খেলতে গিয়েছিলো ইংল্যান্ডে কেন্টের হয়ে। স্যুইং কন্ডিশনে অর্শদীপ প্রি এক্সপোজড ধরে নেওয়া যায়। মস্তিষ্কের শীতলতার প্রমাণ আগেই পেয়েছি। নাহলে ২২’-এর এশিয়া কাপের ইন্দো-পাক ম্যাচটায় ক্যাচ মিসের পর ওরকম লাস্ট ওভার করা যায় না!
শুধু আর্শদীপকে শিখতে হবে পিচে বল গ্রিপ না করলে,স্যুইং কন্ডিশন না পেলে ইকোনমিকাল হবার ফান্ডাটা। টি-টোয়েন্টিতে ইকোনমিই যে সব। আশা করি শিখে নেবেন তিনি; বা কেউ শিখিয়ে দেবেন তাঁকে!