দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অভিজ্ঞ এই ভারতীয় স্পিনার ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছ থেকে মূল্যবান পরামর্শ পেয়ে আসছেন। তিনি জানান ধোনির মূল নির্দেশনা সবসময়ই নতুন কিছুর প্রচেষ্টা করা এবং ভিন্ন থাকার ওপর জোর দেওয়া।
অশ্বিন যিনি সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন, তিনি ধোনির নেতৃত্বে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এই স্পিনার ধোনির গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শর কথা প্রকাশ করে বলেন যে এটি বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিক রয়ে গেছে।
অশ্বিন বলেন, ‘ধোনি সবসময় বলতেন, তোমার সবচেয়ে বড় শক্তি হল নতুন জিনিস চেষ্টা করা এবং তার প্রয়োগ করা। তাই অন্য কারো জন্য এটি পরিবর্তন করবে না। আমি দিল্লী এবং চেন্নাইয়ের মধ্যে একটি খেলার পরে দুবাইতে তাঁর সাথে দেখা করি এবং আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি, আপনি এটি কীভাবে বুঝতে পেরেছেন? আমি সেই ব্যাক স্পিনের উন্নতি করেছি। তিনি বললেন, তুমি আগে থেকে যেমন ছিলে তেমনই আছো, আর এটাই তোমার শক্তি। তুমি সবসময় এমন থাকবে এবং তোমার বৈচিত্রের উপর কাজ করবে। আমি আবাক হয়েছিলাম কারণ ১৫ বছর আগেও সে আমাকে এটাই বলেছিল।’
অনেক দিন পরেও ধোনির এই পদ্ধতির চলমান বিশ্বাসকেও তুলে ধরেছেন অশ্বিন। তিনি বলেন, ‘লোকটা একই জিনিস দেখতে থাকেন এবং একটি সংক্ষিপ্ত বিরতির পরে তিনি আমাকে আবার বলেন, আমি জানতাম তুমি কি ভাবছ কিন্তু এটাই তোমার শক্তি। তাই নতুন জিনিস চেষ্টা করতে থাক, একই পরিকল্পনায় আটকে থেকো না।’
ধোনি ক্রিকেটের কারিগরি দক্ষতার বাহিরেও খেলোয়াড়দের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। খেলোয়াড়দের মানসিক যোগ্যতা বাড়ানোর উপর বিশেষ মনোযোগ দেন তিনি। অশ্বিন মন্তব্য করেন যে কীভাবে ধোনির অন্তর্দৃষ্টি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা তুষার দেশপাণ্ডের মতো খেলোয়াড়দের পরিবর্তনে সহায়তা করে।
অশ্বিন এই সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি শুধু যে ক্রিকেট দেখেন তা নয়। তিনি খেলোয়াড়দের মানসিক শক্তির দিকে বা মানসিক যোগ্যতার দিকেও খেয়াল রাখেন। এবং আমি দেখতে পাই যে ধোনি তা সিএসকের তুষার দেশপাণ্ডের সাথেও করেছিলেন। তিনি তা করা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি নির্দিষ্ট ভূমিকায় ভাল করা খেলোয়াড়দের বাছাই করে থাকেন এবং তাঁদের দলে মানানসই স্থানে প্রবেশ করান।’