মাস ছয়েক আগেও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ছিল না কোনো স্থায়ী পিচ কিউরেটর। অবশেষে চলতি বছরের জুলাইতে সিলেটের পিচ কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব নেন টনি হেমিং। এমন গুরুদায়িত্ব নেওয়ার খুব একটা সময় পাননি অজি এ পিচ কিউরেটর।
তবে সিলেটের উইকেট তৈরির প্রথম পরীক্ষাতেই উতরে গেছেন তিনি। ঘরের মটিতে টেস্ট জিতলেই স্পিনবান্ধব পিচ নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। তবে কিউইবধের পথে সেই প্রশ্নের কাঠগড়ায় আর দাঁড়াতে হয়নি৷ বরং কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি পিচ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্যই করেছেন।
অবশ্য এ পিচ কিউরেটর মাঠকর্মীদেরই দিচ্ছেন কৃতিত্ব। তিনি বলেন, ‘মাঠকর্মীরা ব্যাটে-বলের ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেছে। এটা প্রতি ২৯ রানে ১ উইকেটের পিচ।’
সিলেটের পিচ যে স্পোর্টিং উইকেট ছিল সেটি জানিয়ে টনি হেমিং আরো বলেন, ‘সব বিভাগের জন্য একটা কিছু ছিলো। সবাই লড়াই করার সুযোগ পেয়েছে। এটাই ভালো টেস্ট পিচ। ফলাফল আসায় খুশি। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভালো ক্রিকেট দেখা।’
এর আগে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাটি পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন হেমিং। আইসিসির ক্রিকেট একাডেমি আর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রধান কিউইরেটর হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।
হেমিং অবশ্য বাংলাদেশে মূল দায়িত্ব পালন করবেন নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। পূর্বাচলের মাঠটির উইকেট তৈরি হবে তার পরামর্শে। আর সেই লক্ষ্যেই অজি এ পিচ কিউরেটরের সাথে ২ বছরের চুক্তি করেছে বিসিবি।