টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার প্রায় দুই যুগ পেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ, অথচ এ সময়টাতে মাত্র দুইবার অস্ট্রেলিয়া সফরের সুযোগ হয়েছে। কেন বাংলাদেশকে ডাকে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) সেটা নিয়ে নানান গুঞ্জন প্রচলিত আছে। কারো মতে পারফরম্যান্স ইস্যু কেউ আবার মনে করেন আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে না দেখেই ঘরের মাঠে টাইগারদের বিপক্ষে খেলতে রাজি নয় তাঁরা।
তবে এমন কোন কারণ নেই বলে জানান সিএ প্রধান নির্বাহী নিক হকলি। তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টির সঙ্গে একমত নই। বাংলাদেশ আমাদের এফটিপির পরবর্তী চক্রের অংশে নিশ্চিতভাবেই আছে এবং আমরা বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে মুখিয়ে আছি।’
২০২৩-২০২৭ সালের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনার (এফটিপি) শেষ দিকে দেশের মাটিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দুইটি টেস্ট খেলার কথা আছে অস্ট্রেলিয়া দলের।
তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়াকে আতিথেয়তা দিবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজে তিনটি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হবে। এছাড়া চলতি মাসে বাংলাদেশ এ দল অজিদের দেশে সফরে যাবে।
সম্প্রতি অবশ্য প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। সেই সফর নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট হকলি। তিনি বলেন, ‘এই বছর হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে আমাদের নারী দলের দারুণ একটি সফর গিয়েছে। নারী দল যে আতিথেয়তা পেয়েছে, সেটার প্রশংসা করি আমরা।’
এই ক্রিকেট কর্তা যাই বলুক, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বটে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারা কিংবা ভাল মুহূর্ত উপহার দেয়া একটা ম্যাচকে দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলে। কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশে প্যাট কামিন্সদের কতটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে টিম টাইগার্স সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে।