পাকিস্তানের জার্সি গায়ে সময়টা মোটেই ভাল কাটেনি উইকেটরক্ষক ব্যাটার আজম খানের। একাধিকবার সুযোগ দেওয়ার পরেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি তার সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ইন্সটাগ্রামে ঢুকে অদ্ভুত এক দৃশ্যের দেখা মেলে।
তাঁর অ্যাকাউন্টের সকল পোস্ট মুছে ফেলা হয় বা তিনি ইচ্ছা করে লুকিয়ে রেখেছেন। ধারণা করা হয়, তার ফিটনেস ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে নির্বাচন নিয়ে ভক্তদের সমালোচনা পাওয়ার পর এই পদক্ষেপ গ্রহন করেন তিনি।
আজম খান তার স্থূলতার কারণে সর্বদা সমালোচনার শিকার হয়েছেন, তবুও পাকিস্তান ও বিদেশে অন্যান্য টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে তিনি তার দক্ষাতার প্রমাণ দিয়েছেন।
গত কয়েকদিন থেকেই তিনি তার ফিটনেসের জন্য ভয়ানক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছিলেন। বিশেষ করে কিছুদিন আগে শেষ হওয়া ইংল্যান্ড বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খারাপ প্রদর্শনের পরে। ৪ ম্যাচের সেই সিরিজে পাকিস্তান ২-০ ব্যাবধানে হারে, যেখানে ২ টি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।
এই সফরে একজন সাংবাদিক আজম খানের ইংল্যান্ড ও বিশ্বকাপ দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন করেন। যেখানে তার সতীর্থ ফখর জামান তার পক্ষ নিয়ে বলেন যে অধিনায়ক বাবর আজম ও কোচ গ্যারি কার্স্টেন আজমকে তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়েছে। গেল পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অন্যতম সেরা ফিনিশার ছিলেন আজম খান।
আজম খান নিজের ইন্সটাগ্রামে অনেক সক্রিয় ছিলেন এবং মাঝে মাঝেই সেখানে তার ছবি ভিডিও দিয়ে থাকতেন। এখনও এই ব্যাটার তার পোস্ট উধাও হওয়ার কোনও কারণ দেননি।
কিংবদন্তি পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক মঈন খানের ছেলে আজম তিন বছর আগে ২০২১ এর জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলেও পাকিস্তানের জার্সি গায়ে এখনও কোনও চিহ্ন রাখতে পারেনি।
সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের সামর্থ্যের কিছুটা প্রদর্শনী দিলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও ব্যার্থ হন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে ১২ ইনিংসে সামান্য ৯.৭৮ গড়ে মাত্র ৮৮ রান করেন আজম খান।