উপমহাদেশের দেশগুলোর ক্রিকেট সংস্কৃতিটাই যেন হয়ে গেছে এমন। একজন অধিনায়ক যত ভালো পারফরম্যান্সই করুন না কেন, পান থেকে চুন খসলেই শুরু হয়ে যায় সেই অধিনায়কের সমালোচনা।
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। এমনিতে বাবরের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন নেই তেমন কারোই, কিন্তু পাকিস্তান জুড়ে অধিনায়ক বাবরের সমালোচকদেরও অভাব নেই।
আবার বাবরকে প্রশংসা করার লোকও যে একদম নেই তেমনটাও নয়। এই যেমন সবশেষ দুটো সিরিজে পাকিস্তানের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন উমর গুল। খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাবরের অধিনায়কত্ব। গুল মনে করেন বাবর দলে খুবই প্রভাবশালী একজন অধিনায়ক। জয়ের জন্য বাবর অনেক ক্ষুধার্ত, যেটা পাকিস্তান দলের জন্য দারুণ।
পাকিস্তানের ক্রীড়াভিত্তিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গুল বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজের সময় আমি বাবরকে খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং একটা জিনিস পরিষ্কার যে সে একজন প্রভাবশালী অধিনায়ক এবং দলের সাফল্যের জন্য অনেক ক্ষুধার্ত। যদি নিউজিল্যান্ড সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর পারফরম্যান্স আমরা দেখি তাহলেই বোঝা যাবে সে অনেক কর্তৃত্বপূর্ণ অধিনায়কত্ব করেছে।’
গুল আরো বলেন, ‘একজন অধিনায়ক হিসেবে যদি আপনি দলে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন এবং দলের ফলাফলও দারুণ হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনি দারুণ একজন অধিনায়ক। বাবরকে যদি পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিতেই হয় তবে তাকে এই প্রভাব বজায় রাখতে হবে।’
‘নেতার দায়িত্বই হলো সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেয়া এবং দলের জন্য খেলে যাওয়া। এভাবেই দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আপনি পারফরম্যান্স বের করে নিয়ে আসতে পারবেন এবং মাঠ এবং মাঠের বাইরে আপনি তাদের খেয়াল রাখবেন।’
তবে বাবরের অধিনায়কত্বে মুগ্ধ হলেও এখনো উন্নতি করার জায়গা দেখেন গুল। গুল বলেন, ‘আমার মনে হয় সে যে প্রভাব বিস্তার করছে এটা একটা ভালো দিক। তবে সবসময়ই উন্নতি করার কিছু জায়গা থাকে। এমন কোনো খেলোয়াড়ই নেই যে দলের ঢুকবে আর ভালো অধিনায়ক হয়ে যাবে। শেখার সবসময় একটা জায়গা থাকে এবং সবাইকে এই পদ্ধতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এখন পুরো টিমের ওপর বাবরের কর্তৃত্ব আছে।’