বাদশাহ বাবরের বিপিএল শাসন

নিজের স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ে রংপুর রাইডার্সকে সুবিধাজনক অবস্থায় পৌঁছে দিচ্ছেন বাবর।

রংপুর রাইডার্সে বাবর আজমের ভূমিকা কি – এমন প্রশ্নে ক্রিকেটের খোঁজ রাখা যেকেউ বলবেন টপ অর্ডারের হাল ধরা, বড় রান করার ভিত গড়ে দেয়া। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে এই ক্রিকেটার ঠিক সেটাই করেছেন, নিজের স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ে দলকে সুবিধাজনক অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

ঢাকার বিপক্ষে এদিন ৪৬ বলে ৬২ রান করেছেন বাবর। পাঁচটি চার আর একটি ছয়ে সাজানো এই ইনিংসে তাঁর স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৩৫। তবে এই ইনিংসের কল্যাণেই ১৮৩ রানে পৌঁছুতে পেরেছে রংপুর; শেষদিকে বিধ্বংসী হতে পেরেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, শামীম হোসেনরা।

ওপেনিংয়ে নেমে পাক তারকা উইকেটে ছিলেন সতেরোতম ওভার পর্যন্ত। শুরুতে অবশ্য রান করতে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাঁকে; প্রথম ১৩ বলে মাত্র পাঁচ রান করেছিলেন তিনি, ডট দিয়েছিলেন ১১টি। তবে আরাফাত সানিকে ছক্কা হাঁকিয়ে জড়তা কাটিয়ে উঠেন খানিক পরেই, এরপর আর অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি।

মাঝের ওভারে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছিলেন পাক তারকা। তবে একই ওভারে সোহান-নবী আউট হলে চাপে পড়ে যায় টিম রাইডার্স। কিন্তু সেই চাপ বাড়তে দেননি তিনি, বরং কাউন্টার এটাকের পথ বেছে নিয়েছিলেন। এরই মাঝে ৪১ বলে পেয়ে যান এবারের বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি।

আউট হওয়ার আগে শেষ পাঁচ বলে বারো রান করেন এই ডানহাতি। অবশ্য বদলি ফিল্ডার মেহরাব দারুণ এক ক্যাচ না নিতে পারলে নিশ্চয়ই আরো কিছুক্ষণ ঝড়ো ব্যাটিং করতে পারতেন তিনি; যা করেছেন সেটা প্রশংসনীয় বটে, তবে তাঁর মাপের একজন ব্যাটারের কাছ থেকে কেবল ফিফটি দেখে তুষ্ট হতে পারে না ক্রিকেটপ্রেমীদের মন।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে সতীর্থদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝে ম্যাচ জেতানো অর্ধশতক এসেছিল বাবর আজমের কাছ থেকে। পরের ম্যাচে ব্যর্থ হলেও ঢাকার বিপক্ষে পুনরায় স্বরূপে ফিরলেন তিনি। তাঁর এমন ধারাবাহিক আগামী দিনেও দেখতে চাইবে সোহানের দল; যদিও স্ট্রাইক রেট আরেকটু বাড়ানোর দিকে নজর দিতে পারেন এই পাকিস্তানি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...