বিশ্বকাপে ভরাডুবি না হোক, পাকিস্তানের তরী ডুবেছে সফলতার বন্দরের বহু আগে। তাতেই তো চারিদিকে সমালোচনার ঝড়। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে, ক্রিকেট বিশ্লেষক সবার সমালোচনায় ধ্রুব চরিত্র ছিলেন বাবর আজম। সেই বাবর ব্যর্থতার দায় নিয়ে ছাড়লেন অধিনায়কত্ব।
এবারের বিশ্বকাপে বাবর আজমের নেতৃত্বে শিরোপা জয়ের উদ্দেশ্যেই ভারতে এসেছিল পাকিস্তান। তবে শিরোপা বহু দূরের বিষয়, সেমিফাইনালেই যেতে পারেনি পাকিস্তান দল। স্বাভাবিকভাবেই রোষানলে পড়তে হয়েছে বাবরকে। তাইতো তিনি ছেড়েছেন্ নিজের দায়িত্ব।
অধিনায়ক হিসেবে খুব বেশি ব্যর্থ ছিলেন বাবর তা বলবার সুযোগ নেই। তবে বৈশ্বিক আসরে বাবর এনে দিতে পারেননি কোন সাফল্য। ২০২০ সালে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন বাবর। বছর তিনেক বাদে তিনি সরে দাঁড়ালেন বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হওয়ার ঠিক পরপরই।
এই তিন বছরে, ২০টি টেস্টে ১০ জয় পেয়েছে বাবরের দল। ওয়ানডেতে জয়ের সংখ্যা ২৬টি, ৪৩ ম্যাচের বিপরীতে। সফলতার হার সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টিতে। ৭১ ম্যাচের মধ্যে ৫৯.১৫ শতাংশ ম্যাচ তার অধীনেই জিতেছে পাকিস্তান।
তবে এত সব অর্জনের মাঝে, শিরোপা জয়ের কোন চিহ্ন নেই। এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার গল্পের পর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ব্যর্থতাও যুক্ত হয়েছে। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বাদ হয়ে যায় বাবর আজমের দল। এরপর শিরোপার খুব কাছে গিয়ে হতাশাই সঙ্গী হয়েছে।
এরপর ২০২২ এশিয়া কাপের ফাইনালেও পরাজয়। ২০২৩ সালের ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলা হয়নি বাবরের দলের। তারপর বিশ্বকাপে বাদ পড়তে হয়েছে রান রেটেরে মারপ্যাঁচে। শিরোপা জয়ে ব্যর্থ হওয়া ছাড়াও, নানা সময়ে সাম্প্রতিক খেলোয়াড়দের সাথে দ্বিমতের ঘটনা ঘটিয়েছেন বাবর। তাছাড়া বোর্ডের সাথেও সম্পর্কের অবনতির গুঞ্জনও উঠেছে চারিদিকে।
সবকিছু মিলিয়ে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়াই ছিল সহজ সিদ্ধান্ত। তাইতো শেষ অবধি তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্বই ছেড়ে দিলেন বাবর আজম। ইতোমধ্যেই শাহীন শাহ আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছে পিসিবি। অন্যদিকে শান মাসুদ টেস্টে অধিনায়কত্ব করবেন। তবে এখনও ওয়ানডে দলের অধিনায়কের পদটি শূন্যই রয়েছে।