টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট অবসর নিয়েছেন অনেক আগে; কিন্তু সংক্ষিপ্ত সংস্করণে কি করে রান করতে হয় সেটা একটুও ভোলেননি মুশফিকুর রহিম। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) আরো একবার দেখাচ্ছেন নিজের ধারাবাহিকতা; ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৪৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ছয় চার ও দুই ছয়ে সাজানো এই ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ১৪১। ফরচুন বরিশালের স্কোরবোর্ডে ১৬১ রানের পুঁজি জমা হওয়ার পিছনে মূল অবদান মুশফিকেরই।
তামিম ইকবালের বিদায়ের পর এদিন বাইশ গজে এসেছিলেন তিনি। দলের রান তখন ৩ উইকেটে ৪৩, সেখান থেকে দায়িত্ব নেন। শুরুর দিকে একটু দেখেশুনে খেলেছেন এই ডানহাতি, প্রথম বারো বলে তাঁর নামের পাশে ছিল আট রান। কিন্তু দশম ওভারে আলিস আল ইসলামকে পর পর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে আগ্রাসী হয়ে উঠেন তিনি।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৬৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি; যেখানে তাঁর অবদান ছিল ২৪ বলে ৩৫। সৌম্যর বিদায়ের পর বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপে ধ্বস নামে; মাহমুদউল্লাহ, শোয়েব মালিকরা যোগ দেন আসা যাওয়ার মিছিলে। কিন্তু এই উইকেটকিপার ছিলেন অবিচল, দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা নিয়েই ব্যাট করেছেন।
তাই তো নি:সঙ্গ শেরপার মতই ডেথ ওভারে একাই লড়ে যান তিনি। মুস্তাফিজুর রহমানের এক ওভারে টানা তিনটি চার হাঁকিয়ে মাত্র ৩৫ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। এর আগে অবশ্য বিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ৩০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই তারকা।
শেষপর্যন্ত বিশতম ওভারে স্লগ করতে গিয়ে বাউন্ডারি আটকা পড়েন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য নিজের কাজটা করে ফেলেছিলেন, যদিও লোয়ার মিডল অর্ডার থেকে সঙ্গ পেলে হয়তো তাঁর ইনিংস আরো ফলপ্রসূ হতে পারতো।
চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। তাঁর এই রূপ বাকি সব ম্যাচেও দেখতে চাইবে সাউদার্ন আর্মিরা। বিপদে ভরসা হয়ে পাশে থাকবেন তিনি, আবার প্রয়োজনের মুহুর্তে ঝড় তুলবেন প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর এমনটাই তো চাওয়া মি.ডিপেন্ডেবল’র কাছে।