দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পরই অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের জন্য প্রকাশিত স্কোয়াড তিনি অধিনায়ক হিসেবেই আছেন। অর্থাৎ টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যাই ঘটুক, ওয়ানডেতে অন্তত তাঁর নেতৃত্বে আরো কিছু দিন খেলবে বাংলাদেশ।
অবশ্য এই সিদ্ধান্ত যৌক্তিকও বটে, বর্তমান বাংলাদেশ দলে অধিনায়কের আসনে এই বাঁ-হাতির বিকল্প নেই। পারফরম্যান্স, পরিপক্বতা আর নেতৃত্বগুণ মিলিয়ে তিনিই একমাত্র অপশন। শান্ত অধিনায়কত্ব ছাড়লে নতুন অধিনায়ক হবেন মেহেদি হাসান মিরাজ, এমন গুঞ্জন আছে ক্রিকেটাঙ্গনে। তবে আফগানদের বিপক্ষে অধিনায়ক নন, বরং সহ-অধিনায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে তাঁকে।
এই সিরিজে খেলার কথা থাকলেও স্কোয়াডে রাখা হয়নি সাকিব আল হাসানকে। অবশ্য সেটার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন বোর্ড সভাপতি। মূলত তিনি নিয়মিত অনুশীলনে না থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে আছেন নাসুম আহমেদ, এক বছরের বিরতি কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেন এই স্পিনার। চান্দিকা হাতুরুসিংহের বিদায়ের পরপরই তাঁর ফেরাটা নেহাত কাকতালীয় নাকি অভ্যন্তরীণ কূটনীতি সেটা অবশ্য জানার সুযোগ নেই।
যদিও বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা লিটন দাসকে ঘিরে, ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে রাখা হয়নি স্কোয়াডে। তাঁর পরিবর্তে ফেরানো হয়েছে সৌম্য সরকারকে। অবশ্য কোন পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তাঁকে ডাকা হয়েছে সেটা পরিষ্কার নয়।
চমক হিসেবে রাখা হয়েছে নাহিদ রানাকে; তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলামের সাথে পেস বিভাগ সামলাবেন তিনি। এছাড়া টপ অর্ডার ব্যাটার এবং উইকেটরক্ষক হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন জাকির হাসান।
বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াডঃ সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান এবং নাহিদ রানা।