নিয়মিত জয় পাওয়াকে মানদণ্ড ধরলে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলকে পরিণতই বলা যায়। তবে, সাফল্যের মানদণ্ড যে বৈশ্বিক শিরোপা। ভাঙতে হবে সেই অচলায়তন।
আর সেই মিশনে সামনে এখন এশিয়া কাপ, ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট মহাদেশিয় লড়াই। এবারের শিরোপার আলোচনায় আছে বাংলাদেশও। পছন্দের ফরম্যাট বলেই মুখিয়ে আছেন ক্রিকেটাররাও। এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মিশনে কে হবেন বাংলাদেশ দলের তুরুপের তাস? সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজে বের করতে চেয়েছে খেলা ৭১।
- সাকিব আল হাসান
বড় আসরে সাকিব কি করতে পারেন সেটা ২০১৯ সালের বিশ্বকাপেই দেখা গেছেন। আর এবার অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েই সাকিব বলেছেন, তাঁর লক্ষ্য এখন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ।
মানে, সাকিবের চোখ শিরোপার দিকে। সাকিবের কথাকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বর্ষিয়ান এই অলরাউন্ডার ফের আরেকটি আসরে হবেন বাংলাদেশের প্রাণভোমরা। আবারও সব সমস্যার সমাধান, সাকিব আল হাসান!
- তাওহিদ হৃদয়
ক্যারিয়ারের পরিধি মাত্র অল্প ক’টা দিনের। এই সময়েই নিজেকে দারুণ ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাথে মানিয়ে নিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। এর মধ্যেই ব্যাট হাতে দলের অন্যতম ভরসা তিনি।
ব্যস্ত ক্রিকেটার, উইকেটে যাওয়ার সাথে সাথেই তাঁর লক্ষ্য একটা – রান বের করতে হবে – তা দলের অবস্থা, কন্ডিশন বা প্রতিপক্ষ যাই হোক না কেন। আর লঙ্কান কন্ডিশনটা তো লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) থেকেই বুঝে এসেছেন হৃদয়। এবার তাহলে আবার হৃদয় জয়ের পালা।
- হাসান মাহমুদ
দলে মুস্তাফিজুর রহমান আছেন, আছেন তাসকিন আহমেদের মত স্পিডস্টার। তারপরও বেশি ভরসা করা হবে হাসান মাহমুদের ওপরই। নতুন বলের কার্যকারিতা, সাথে অনন্য ডেথ বোলিং – সব মিলিয়ে যেকোনো ব্যাটিং লাইন আপের জন্য হুমকির কারণ হতে পারেন হাসান।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পেস বোলিং এখন আগের থেকে অনেকটাই পরিণত। আর এবারের এশিয়া কাপে সেই পরিণতি পেতে পারে নতুন মাত্র। আর সেখানেই কাণ্ডারি হয়ে হাসাবেন হাসান মাহমুদ।
- শামিম হোসেন পাটোয়ারি
এই নামটা দেখে অবাক হতে পারেন। কারণ, তাঁর ওয়ানডে অভিষেকও হয়নি। তবে, ভয়ডরহীন ব্যাটিং করে শামিম হোসেন পাটোয়ারি টি-টোয়েন্টিতে জায়গাটা পাঁকা করে ফেলেছেন।
শামিম স্ট্রিট-স্মার্ট, সাহসী ক্রিকেটার। রান রেটের সাথে পাল্লা দিতে পারেন। লোয়ার মিডল অর্ডারে চাইলে তাঁর কাছ থেকে ব্যাটিং ঝড় আশা করা যায়। আর অনবদ্য ফিল্ডিংয়ে একাদশে না থেকেও অনেক সময় পাল্টে দিতে পারেন ম্যাচের চেহারা।
- চান্দিকা হাতুরুসিংহে
তিনি ‘দ্য মাস্টার মাইন্ড’। সম্ভবত এত ট্যাকটিক্যাল কোচ এবার এশিয়া কাপেই আর দ্বিতীয়টি নেই। আর দ্বিতীয়বারের মত বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়ে লঙ্কান এই কোচ সাফল্যের জন্য আরও ক্ষুধার্থ।
অল্প ক’দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ দলের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন তিনি। এবার সেই আত্মবিশ্বাস মাঠে প্রয়োগ করার পালা। মঞ্চ এশিয়া কাপ, হাতুরুসিংহে কি পারবেন নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের মুকুটে নতুন একটা পালক যোগ করতে?