বিশ্বকাপ দল নির্বাচনের শেষ ধাপে বিসিবি

প্রায় ৪৫ দিন থাকছে না বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোন ম্যাচ। একেবারে এশিয়া কাপেই দেখা যাবে লিটন, শান্তদের।

প্রায় ৪৫ দিন থাকছে না বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোন ম্যাচ। একেবারে এশিয়া কাপেই দেখা মিলবে লিটন, শান্তদের। এর আগে দীর্ঘ এই বিরতিতে বাংলাদেশ দল নিজেদের গুছিয়ে নিতেই চাইবে নিশ্চয়ই। তেমনটাই তো হবার কথা। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল সংশ্লিষ্ট সবাই এখন, তা নিয়েই ব্যস্ত।

আগামী ২৯ জুলাই তাইতো শুরু হবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। মিরপুর হোম অব ক্রিকেটেই সে ক্যাম্পের বন্দোবস্ত করা হবে। তেমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তাছাড়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পরের দিনই শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছেন চান্দিকা হাতুরুসিংহে।

মিরপুরের প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার সাথে আলাপচারিতাও করতে দেখা গেছে। বেজায় ব্যস্ত যেন চান্দিকা। আফগানিস্তানের সাথে সিরিজ চলমান অবস্থায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড। তামিম ইস্যুতে বড়সড় ধাক্কাই খেয়েছে গোটা ক্রিকেট পাড়া। যথারীতি আফগানিস্তানের সাথে ওয়ানডে সিরিজটা হেরে বসে আছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাঠেই দুইটি ওয়ানডে সিরিজের পরাজয়ের শিকার হয়েছে তামিমরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সেটাও একটা চিন্তার কারণ। তাইতো পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট, গোটা দলটাকে আবারও একত্রিত করতে চাইছে। একটি সুতোয় বাঁধতে চাইছে।

সে ভাবনা থেকেই প্রায় ২৭-২৮ জন খেলোয়াড়কে নিয়েই হবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। খেলোয়াড়দের ফিটনেসের উপর জোর দেওয়া হবে সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া স্কিল ট্রেনিংও হবে পুরোটা সময় জুড়ে। সেখান থেকেই বিশ্বকাপের জন্যে ১৫ জন খেলোয়াড়কে বাছাই করা হবে।

প্রতিটি পজিশনের জন্য অন্তত দু’জন খেলোয়াড়কে রাখতে চাইছেন নির্বাচকরা। প্রধান নির্বাচক তেমনটিই জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমে। ব্যাকআপ ওপেনার ও সাত নম্বর পজিশনে ঠিক কাদের কাদের রাখা হবে সে বিষয়টি এখনই নিশ্চিত নয়। তবে ক্যাম্প শুরু হলে ক্রমশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে সবকিছুই।

কিন্তু বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক, তামিম ইকবাল খান রয়েছেন দেড় মাসের ছুটিতে। তিনি তার পরিবারকে সময় দিচ্ছেন। নিজের ফিটনেস নিয়েও হয়ত কাজ করছেন। কিন্তু ছুটির সময়কালের মাঝপথে তিনি যুক্ত হবেন কি-না বাংলাদেশের ক্যাম্পে, তা নিয়ে মেলেনি কোন সদুত্তর।

বরং বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বিষয়টি ঠেলে দিয়েছেন মেডিকেল টিমের কোর্টে। মেডিকেল সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলে তবেই তামিম যোগ দেবেন ক্যাম্পে। তামিমের অবসর কাণ্ডের পরবর্তী সময়ে তিনি বেশ আড়ালেই রয়েছেন। তার বিষয়ে ঠিকঠাক তথ্য জানা নেই যেন কারোই।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের সাত নম্বর পজিশনে একজন ব্যাটারকে খুঁজছে হন্যে হয়েই। সেখানেও মিলছে না আশানুরুপ সমাধান। সেদিক থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সম্ভাবনা রয়েছে আবারও জাতীয় দলের সাথে যুক্ত হওয়ার। যদিও তিনি দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছেন দলের বাইরে, তবুও তিনি রয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনায়।

সুতরাং তাকেও দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের আসন্ন কন্ডিশনিং ক্যাম্পে। বেশ লম্বা সময় ধরে চলা এই ক্যাম্প থেকে নিশ্চিতভাবেই বিচার করা হবে খেলোয়াড়দের ফিটনেস। অন্যদিকে, ইমার্জিং এশিয়া কাপ ও এশিয়ান গেমসের মাধ্যমে বিভিন্ন খেলোয়াড়কে বাজিয়ে দেখার কাজটা অব্যাহতই রাখবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।

মিরপুর হোম অব ক্রিকেটের সার্বিক পরিস্থিতি অন্তত জানান দিচ্ছে, বেশ গুরুত্ব দিয়েই দল গঠনের কাজটি করতে চাইছে সংশ্লিষ্ট সকলে।বরং সেদিক থেকে খানিকটা চাপেই রয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। কিন্তু ঠিক কোন ২৭ বা ২৮ জনকে ডাকা হবে ক্যাম্পে, সে জন্য ২৯ জুলাই অবধি অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...