শুরুতেই হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে যে আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করেছিল বাংলাদেশ; তার ছিটেফোঁটাও দেখা গেলো না পাকিস্তান ম্যাচে। কি জানি, নাজমুল হোসেন শান্ত দল ছাড়ার সময় হয়তো সব আত্মবিশ্বাস সাথে করে গিয়েছিলেন। তাই তো সাকিব, মুশফিক ছাড়া আর কেউই দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তানের পেসারদের সামনে। ফলতঃ ৬৩ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে যে আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করেছিল বাংলাদেশ; তার ছিটেফোঁটাও দেখা গেলো না পাকিস্তান ম্যাচে। কি জানি, নাজমুল হোসেন শান্ত দল ছাড়ার সময় হয়তো সব আত্মবিশ্বাস সাথে করে গিয়েছিলেন। তাই তো সাকিব, মুশফিক ছাড়া আর কেউই দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তানের পেসারদের সামনে। ফলতঃ ৬৩ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা।

টাইগারদের দশ উইকেটের নয়টিই শিকার করেছে পাকিস্তানের ফাস্ট বোলাররা। তবে চার উইকেট তুলে বাংলাদেশের বড় ক্ষতিটা করেছেন হারিস রউফ, ম্যাচসেরার পুরষ্কারও উঠেছে তাঁর হাতে।

নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে এই পেসার বলেন, ‘দর্শকরা সবসময় এখানে (লাহোরে) আমাদের ভাল খেলার প্রত্যাশা করে। যেকোনো ম্যাচের আগে আমরা একসাথে পরিকল্পনা করি; স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বল করার পরিকল্পনা ছিল আজ, সেটি করার চেষ্টা করেছি প্রায় সময়।’

এশিয়া কাপে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চান হারিস রউফ। হতে চান টুর্নামেন্ট সেরাও। এই ডানহাতি জানান, ‘আমি প্রচুর পরিশ্রম করি, আমার লক্ষ্যও অনেক বড়। এশিয়া কাপের প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হতে চাই, এখন দেখা যাক কি হয়।’

বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশ্য পুরো দায় ব্যাটারদেরই দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘শুরুতেই আমরা হেরে গিয়েছিলাম, তাঁরা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। এমন উইকেটে আমাদের দশ ওভারে চার উইকেট হারানো উচিত নয়। আবার আমি আউট হওয়ার পর কোন জুটি হয়নি, সবমিলিয়ে ব্যাটিং ভাল হয়নি একদমই। এখন থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী ম্যাচে মনোযোগ দিতে হবে।’

পাকিস্তানের ফাস্ট বোলারদের প্রশংসাও করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। একইসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন নিজেদের পেস ডিপার্টমেন্টের কথাও। এই তারকা বলেন, ‘পাকিস্তান নাম্বার ওয়ান দল, তাদের বিশ্বসেরা তিনজন পেসার আছে। তাঁরা যদি নিজেদের কাজ করে, তাহলে ম্যাচ জেতা সহজ হয়ে যায়। আমরাও বোলিংয়ে ভাল করছি, গত কয়েক বছর ধরে পেসাররা ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছে।’

এসবের পাশাপাশি দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদ শোনা গিয়েছে সাকিবের কণ্ঠে। বাংলাদেশ কাপ্তান জানান, ‘যখন আমি এলপিএলে খেলেছিলাম, পিচগুলো স্লো ছিল। এখনো তেমনটা ঘটলে আমাদের সুবিধা হবে। আশা করি কলম্বোতে আমরা ভাল করব।’

ম্যাচজয়ী অধিনায়ক বাবর আজমও ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন শাহীন শাহদের। তিনি বলেন, ‘অনেক গরম ছিল, তাই পেসারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। প্রথমে শাহীন, পরে রউফ দারুণ করেছে। পিচ দেখে ফাহিমকে দলে নেয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম সেটাও কাজে দিয়েছে।’ এছাড়া ভারতের বিপক্ষে নিজেদের শতভাগ দেবেন বলেও কথা দিয়েছেন নাম্বার ওয়ান ব্যাটার।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...