বার্সেলোনা এখন পূর্ণ যৌবনা নদী

দুই মিনিটের মধ্যে আবারও গোল, এবার একেবারে বাই লাইনের কাছাকাছি পৌঁছে রাফিনহার উদ্দেশ্যে কাটব্যাক করেছিলেন কৌন্দে। ডি বক্সের ঠিক সামনে থেকে সাম্বা বয় খুঁজে নিয়েছিলেন জালের ঠিকানা। প্রায় একই স্টাইলে ফারমিন লোপেজকে দিয়েও গোল করিয়েছিলেন সাবেক সেভিয়া তারকা।

প্রবল শক্তিশালী কোন নদী যখন ফুলে-ফেঁপে উঠে তখন দুই পাড়ের সবকিছু সে ভাসিয়ে নিয়ে যায়; কোন মানুষের পক্ষে তখন আর তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। বার্সেলোনার অবস্থা এখন একদম সেরকম; হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে তাঁরা হয়ে উঠেছে পূর্ণ যৌবনা নদী। আর তাঁদের যৌবনের কাছে একে একে লজ্জা বিসর্জন দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখের মত দল।

সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে পুঁচকে রেড স্টার বেলগ্রেডও উড়ে গিয়েছে কাতালান জায়ান্টদের দাপটে। রবার্ট লেওয়ানডস্কির জোড়া গোল আর জুলস কৌন্দের অ্যাসিস্টের সুবাদে ৫-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

শুরুটা হয়েছিল ইনফর্ম রাফিনহার মধ্য দিয়েই, সেট পিস থেকে দারুণ একটা ক্রসে তিনি খুঁজে নেন ফার পোস্টে থাকা ইনিগো মার্টিনেজকে। প্রায় আনমার্কড অবস্থায় ফ্রি হেডারে গোল করতে একদমই সমস্যা হয়নি মার্টিনেজের। স্বাগতিকরা অবশ্য সেই গোল শোধ দিয়েছিল দ্রুতই, কিন্তু লাভ হলো কই? বিরতির আগে লেওয়ানডস্কির গোলে আবারো লিড পেয়ে যায় বার্সা।

দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটা বলতে গেলে কৌন্দের একার, রাইটব্যাক হয়েই তিন তিনবার অ্যাসিস্ট করে বসেন। যে কেউ তাঁকে রাইটব্যাক না ভেবে রাইট উইঙ্গার ভেবে বসতে পারে। ৫৩ মিনিটের মাথায় ওভারল্যাপিংয়ের সুবাদে ডি বক্সের কাছাকাছি বল পেয়ে যান ফরাসি তারকা, এরপর কাটব্যাক করে লেওয়ানডস্কিকে খুঁজে নেন তিনি। বাকি কাজ করে ফেলেছিলেন পোলিশ স্ট্রাইকার।

দুই মিনিটের মধ্যে আবারও গোল, এবার একেবারে বাই লাইনের কাছাকাছি পৌঁছে রাফিনহার উদ্দেশ্যে কাটব্যাক করেছিলেন কৌন্দে। ডি বক্সের ঠিক সামনে থেকে সাম্বা বয় খুঁজে নিয়েছিলেন জালের ঠিকানা। প্রায় একই স্টাইলে ফারমিন লোপেজকে দিয়েও গোল করিয়েছিলেন সাবেক সেভিয়া তারকা।

ফরোয়ার্ডরা গোল করছেন মুড়ি মুড়কির মতন, ডিফেন্ডাররা অফসাইডে ট্র্যাপে আটকে ফেলছেন বাঘা বাঘা প্রতিপক্ষকে – হ্যান্সি ফ্লিক সত্যিই বার্সেলোনার মেসিয়াহ। তাঁর ট্যাকটিক্সে বার্সেলোনা কেবল ঘুরে দাঁড়ায়নি, রীতিমতো উড়ে বেড়াচ্ছে।

Share via
Copy link