টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি নেই আর দু’মাসও, এমন সময়ে ভারতের জন্য বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে পেস বোলিং অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে কাকে রাখা হবে সেই ভাবনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্বাচকরা। এমনিতে অবশ্য আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বিবেচনায় হার্দিক পান্ডিয়া এগিয়ে রয়েছেন; তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, বিশেষ করে আইপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে তাঁকে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন শিভাম দুবে।
এই মৌসুমের আগে আলোড়ন সৃষ্টি করে গুজরাট টাইটান্স থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে এসেছিলেন হার্দিক। এরপর রোহিত শর্মার পরিবর্তে নেতৃত্বের ভার দেয়া হয় তাঁর কাঁধে। সেই থেকে শুরু হয় বিতর্ক। ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে সমর্থকেরা বিদ্রূপ করেছেন তাঁকে নিয়ে; এমন কি হায়দ্রাবাদ, গুজরাটের মাঠেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র।
মাঠের খেলায় এই ডানহাতি সেসব বিদ্রূপের জবাব দিতে পারলে হয়তো এতদিনে চিত্রটা পাল্টে যেত। কিন্তু পারফরম্যান্সও কথা বলছে না তাঁর পক্ষ হয়ে, এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলে মাত্র ১৩১ রান করেছেন আর উইকেট পেয়েছেন মোটে একটি। ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট কিংবা বোলিং ইকোনমি কোনটাই প্রত্যাশার কাছাকাছি রাখতে পারেননি মুম্বাই অধিনায়ক।
অথচ দুবের গল্পটা ঠিক বিপরীত, গত আসরের মত এবারও দারুণ ফর্মে আছেন তিনি। পাঁচ ইনিংস ব্যাট হাতে নেমেছেন, ৬০ এর বেশি গড়ে করেছেন ২৪২ রান; স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৬৫! ফিনিশার কিংবা মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে তাই তাঁকেই সেরা পছন্দ মানছেন ক্রিকেট সমর্থক থেকে শুরু করে বিশ্লেষকরা।
সবশেষ মুম্বাই বনাম চেন্নাই ম্যাচে পান্ডিয়ার এক ওভারে ১৫ রান আদায় করেছিলেন এই বাঁ-হাতি। সেটা আরো উস্কে দিয়েছে দু’জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা – বর্তমান ফর্ম অনুযায়ী অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের চেয়ে তিনি এগিয়ে আছেন তা আরেক বার বুঝিয়ে দিয়েছেন যেন।
ভারতের বর্তমান সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া; কিন্তু ব্যাটে বলে ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স এবং পুরোপুরি ফিট না হওয়া বিশ্বকাপ দলে তাঁর জায়গা নড়বড়ে করে দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকাগামী বিমানে উঠতে তাই ঘুরে দাঁড়াতেই হবে তাঁকে, না হলে শিভাম দুবেই হবেন প্রথম পছন্দের অলরাউন্ডার। অবশ্য দুবের পারফরম্যান্সই যথেষ্ট বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য, ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে ভাগ্যের দিকে তাকানোর প্রয়োজন হবে না তাঁর।