তামিম ইকবাল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ফরম্যাট নিয়ে এই মুহূর্তে ভাবতে চান না তিনি। ছয় মাস দূরে থাকতে চেয়ে কার্য্যত এই ফরম্যাটকে বিদায়ই জানিয়ে নিয়েছেন তিনি। যদিও, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নাছোড়বান্দা। যেকোনো মূল্যে তাঁরা তামিম ইকবালকে আরো আগেই ফেরাতে চায়, চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে।
আর চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) তামিমের রান বন্যা এখানে বড় একটা ভূমিকা রাখছে। এখন অবধি ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি এই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম এরই মধ্যে করেছে ফেলেছেন একটি সেঞ্চুরি ও একাধিক হাফ সেঞ্চুরি।
এই প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘আমি অবশ্যই ওকে (তামিম ইকবাল) দলে চাইতাম। সেরা পারফরমারকে আপনি সব সময়ই দলে পেতে চাইবেন। তাঁর সেরা সময়ে সেরা খেলাটিই তো চাইব, তাই না?’
প্রধান নির্বাচক চান তামিমের ছয় মাসের ‘ছুটি’র মেয়াদ কমাতে। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই বিরতি নেওয়া তামিমের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সে চিন্তা-ভাবনা করেই কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটিকেও সম্মান জানাতে হবে। তবে ওকেও আমরা অনুরোধ করছি। চেষ্টা থাকবে যেন তাড়াতাড়িই ওকে ফিরিয়ে আনা যায়।’
তবে, এই মুহূর্তে তামিমের সম্ভাব্য বিকল্পই খুঁজছে নির্বাচকরা। নান্নু বলেন, ‘বর্তমানে যারা আছে এটাকে নিয়ে আপনাকে চিন্তাভাবনা করতে হবে। এই মুহূর্তে যে সেরা আছে ওকে নিয়ে বা এমন কাউকে সুযোগ দিতে হবে।’
চলতি বিপিএলে তামিম ইকবালের সাথে দারুণ ফর্মে আছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। নান্নু তাই উচ্ছ্বসিত। বললেন, ‘অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকলে দল এক পা এগিয়ে যায়। না থাকলে পিছিয়ে যায় দুই ধাপ। ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা ছাড়া খেলাও কঠিন। রিয়াদ ও তামিমদের পারফরম্যান্সে তাই খুশি হওয়ার কারণ আছে যথেষ্টই। অভিজ্ঞদের কাছ থেকে তরুণরা অনেক কিছু শিখতেও পারে।’
বিপিএল শেষ হবে আসছে ১৮ ফেব্রুয়ারি। এর পরদিনই ঢাকায় পা রাখবে আফগানিস্তান দল। বাংলাদেশে খেলবে তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টোয়েন্টি। বিপিএল চলাকালেই এই সিরিজের দল ঘোষণা করবে বিসিবি।
প্রধান নির্বাচক নান্নু বলেন, ‘১৫ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে আমরা মূল দল দিয়ে দেবো। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে একটু আলোচনা আছে। সবকিছু মিলে পুরোপুরি রাউন্ড যখন শেষ হবে, এলিমেনেটর রাউন্ডের আগেই বসে করণীয়টা ঠিক করা হবে।’