মাথা ব্যাথার কারণ আইপিএলের ‘ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নীতি’

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সাম্প্রতিককালে নেয়া সবচেয়ে আলোচিত সিদ্ধান্ত ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার রুলস। ফ্রাঞ্চাইজিগুলো অবশ্য সাদরে গ্রহণে করেছে এমন নিয়ম, তবে ক্রিকেটাঙ্গনের একটা অংশ মানতে পারেনি; স্বয়ং বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার অবস্থানও এই অংশে। তাই তো এবার নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ, পরের মৌসুমে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার রুলস থাকবে কি না সেটা নিয়ে পুনরায় আলোচনায় বসতে যাচ্ছে তাঁরা।

আগামী বুধবার সন্ধ্যায় বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) ও সব ফ্রাঞ্চাইজির প্রতিনিধির সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা নিয়ে কথা হবে, যার একটি হলো ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার।

একজন ক্রিকেটারের পরিবর্তে সুবিধাজনক আরেকজন ক্রিকেটারকে মাঠে নামানোর সুযোগ চালু করা হয়েছিল ২০২৩ সালে। এর ফলে একদিকে যেমন খেলায় বৈচিত্র্য বেড়েছে, ট্যাকটিক্সে জটিলতা বেড়েছে তেমনি আরেকদিকে অলরাউন্ডারের গুরুত্ব হ্রাস পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রডকাস্টাররা সমর্থন করেছিল এ নিয়ম, কিন্তু ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বারবার নিজেদের উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন।

একজন বাড়তি ভারতীয় ক্রিকেটারকে সুযোগ করে দেয়ার জন্যই মূলত ‘ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার’ নীতির সূচনা। বিসিসিআই সেজন্য এখনো নিশ্চিত নয় যে, নিয়মটি আদৌ বাদ দেয়া হবে কি না। সবার সঙ্গে আলোচনা করার পরেই নেয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত। কেননা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অলরাউন্ডার বড্ড প্রয়োজনীয়, ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁরা ঠিকঠাক খেলতে না পারলে সেটা জাতীয় দলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবেই।

অন্যান্য আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে ক্রিকেটারদের রিটেনশন পলিসি এবং রাইট টু ম্যাচের নিয়ম। স্যালারি ক্যাপ কত হবে, প্লেয়ার ট্রেড করার নীতি কেমন হবে তা নিয়েও বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে মেগা নিলামের আগেই।

আবার বিদেশী ক্রিকেটারদের তালিকা, গেমিং রাইটস, সেন্ট্রাল মার্চেন্ডাইজ এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রমও রয়েছে পাঁচটি এজেন্ডার মধ্যে। সুতরাং বলাই যায়, ভবিষ্যত আইপিএলের রূপরেখা নির্ধারণে বিসিসিআই ও ফ্রাঞ্চাইজির মধ্যকার সভা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link