বেলজিয়ান সোনালি প্রজন্মের নেপথ্যে

২০০২ বিশ্বকাপে স্কোয়াডে মাত্র তিন জন এমন ছিল যারা বেলজিয়ামের পেশাদার লিগ ছাড়া ইউরোপের অন্য কোনো লিগ খেলতো। মাত্র এক যুগের ব্যবধানে দেখা গেল, ১৪’ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে মাত্র এমন তিন জন ছিল যারা বেলজিয়ামের পেশাদার লিগে খেলতো, বাকি সবাই ইউরোপের টপ লিগে খেলতো। একে বলে সত্যিকারের গুণগত রূপান্তর! গত বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান তথা নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রাপ্তিই বলে দিচ্ছে দুই দশকে শক্তিশালী কাঠামো প্রতিষ্ঠার কাজটি তারা সম্মিলিত পরিকল্পনায় কতটা নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করেছে। সুতরাং হঠাৎ এই সোনালি প্রজন্মের উত্থান ভাগ্যক্রমে আসা নয়।

আচ্ছা কাউকে খাতা কলম দিয়ে বসিয়ে যদি গত এক দশকের প্রিমিয়ার লিগের সেরা একাদশ তৈরি করতে দিই, তাহলে কি পারফরম্যান্সের বিচারে তিন বেলজিয়ান ভিনসেন্ট কোম্পানি, কেভিন ডি ব্রুইনা ও ইডেন হাজার্ডকে বাদ দিয়ে তা সম্পূর্ণ করা সম্ভব? হয়তো না।

কিন্তু, প্রশ্ন উঠতেই পারে বেলজিয়াম কবে থেকে তাহলে এতোবড় ফুটবল পরাশক্তি অথবা বিশ্বমানের ফুটবলার তৈরি করতে লাগলো যে, গেল দশকের সেরা প্রিমিয়ার লিগ একাদশেই দেশটির তিনজনকে জায়গা দিতে হচ্ছে!

বেলজিয়াম পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত ছোট একটি দেশ, যাকে ঘিরে রয়েছে ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ ও জার্মানি। অথচ প্রতিবেশী দেশগুলো যেভাবে যুগের পর যুগ ফুটবল বিশ্বে রাজত্ব করেছে, হয়ে উঠেছে ফুটবলের তীর্থভূমি, সেখানে বেলজিয়াম এর অবস্থান ছিল বরাবরই অপ্রাসঙ্গিক। ডাচ, জার্মান ও ফেঞ্চরা যেখানে অগণিত ফুটবল জিনিয়াস উপহার দিয়েছে, সেখানে বেলজিয়ান ফুটবল নিয়ে সামান্য আলোচনাও বোধহয় বেমানান ছিল!

অবশ্য আশির দশকে একটি চমৎকার দল গড়ে উঠেছিলো ঠিকই, তবে তাদের সর্বোচ্চ অর্জন ছিল যথাক্রমে ৮০’ ইউরোর রানার্সআপ ও ৮৬’ বিশ্বকাপের চতুর্থ স্থান। সেই দলটিকেও বর্তমান সময়ের মতোন গোল্ডেন জেনারেশন আখ্যা দেয়া হয়েছিলো বটে। কিন্তু তারপরেও বেলজিয়াম কখনোই ফুটবল মঞ্চে প্রথম সারিতে উঠে আসতে পারেনি। বরং ৮৬’ বিশ্বকাপ পরবর্তী ১১ টি মেজর আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তারা মাত্র ৪ টিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছিলো।

২০০০ সালে ইউরোর মহারণ আয়োজনের দায়িত্ব পায় বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস। স্বাভাবিকভাবেই দল শক্তির বিচারে যেমনই হোক না কেন, স্বাগতিক হিসেবে দেশের মানুষের প্রত্যাশার পারদ ছিল অনেক বেশি। কিন্তু হায়! চরমতম ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় বেলজিয়াম। গ্রুপের তিন ম্যাচের মধ্যে ভাগ্যে জোটে কেবল একটি জয়, তাও সুইডেনের বিপক্ষে। বেলজিয়াম সমর্থক থেকে শুরু করে ফুটবল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রত্যেকে এমন বিদায়কে একপ্রকার অপ্রত্যাশিত এবং অপমানজনক হিসেবেই দেখলো।

এরপরেই মূলত নড়েচড়ে বসে বেলজিয়াম ফুটবল ফেডারেশন। তৎকালীন সময়ে বেলজিয়াম ফুটবলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মিশেল স্যাবলন। তিনি বুঝতে পারলেন, যে দুর্বলতম কাঠামোতে বেলজিয়াম ফুটবল চলছে তাতে ভবিষ্যতেও খুব একটা লাভ হবে না। সুতরাং অতিসত্ত্বর কাঠামোতে সংস্কার আনা অতীব জরুরি।

বলে রাখা ভালো, স্বাগতিক হিসেবে ইউরো আয়োজন করার দরুণ বেশ বড়রকমের আয় এসেছিলো ফেডারেশনের পকেটে। স্যাবলন সিদ্ধান্ত নিলেন, এই অর্থ দিয়েই নতুন করে দেশটির ফুটবল কাঠামো ঢেলে সাজাবেন। তবে কাঠামো শব্দটা শুনতে কেমন যেন জড়বস্তুর মতো লাগে। এর মধ্যে প্রাণসঞ্চারের দরকার আছে বইকি, অর্থ্যাৎ দর্শন-ও ঢুকাতে হবে। যা ভাবনা, তাই সিদ্ধান্ত।

ধীরে ধীরে একটি মাস্টার প্ল্যান দাঁড় করানোর প্রক্রিয়ায় পাশ্ববর্তী দেশ তথা ফ্রান্স, জার্মানি বা নেদারল্যান্ডস কিভাবে ফুটবল নিয়ে কাজ করছে সেটিও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ রাখা হলো। অতঃপর কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন স্যাবলন। তা হলো – Coach Education, General Youth Education ও Club Talent Development। যা সিদ্ধান্ত, তাই কাজ!

প্রথমেই কোচ কোর্স পুরোপুরি ফ্রি করে দেয়া হলো, অর্থ্যাৎ ফুটবল কোচ হওয়ার জন্য যারা কোর্স করতে চাই তাদের আর কোনো অর্থ পরিশোধ করা লাগবে না এমন সিদ্ধান্ত জরুরিভাবে কার্যকর করা হলো।

দ্বিতীয়ত স্যাবলন ফেভারেশনে নিজেই একজন ফুটবল বিজ্ঞানী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ দেন, যার নাম ছিল ওয়ার্নার হেলসেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, আধুনিক ফুটবল বিজ্ঞানের অংশগ্রহণ ছাড়া অসম্ভব। হেলসেন এর মূলত কাজ ছিল তরুণ ফুটবলারদের মুখোমুখি হওয়া বিভিন্ন সমস্যার খোঁজ করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সেটির সমাধান বের করা।

বেশ ক’দিন হিসাব নিকাশের পর প্রফেসর হেলসেন দারুণ একটি সমস্যার কথা সামনে তুলে নিয়ে আসলেন৷ তা হলো ফুটবলে ব্যাপক আগ্রহী অথবা প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলাররা স্কুলের ব্যস্ততার কারণে সপ্তাহে মাত্র ১০ ঘন্টা ট্রেনিং এর পেছনে ব্যয় করতে পারছেন৷ যেখানে ভবিষ্যতে একজন বিশ্বমানের ফুটবলার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য এই বয়সে কমপক্ষে ২০ ঘন্টারও বেশি তাদের ট্রেনিং করা উচিত।

ফলে প্রাথমিক তবে গুরুতর সমস্যাটি সমাধানের লক্ষ্যে বেলজিয়ান সরকার ও ফুটবল ফেডারেশনকে এক টেবিলে বসতেই হলো! যথারীতি আলোচনা সাপেক্ষে সমাধানও বের হলো। কয়েক মিলিয়ন ইউরো খরচে সরকার দ্বারা ৮ টি আধুনিক স্পোর্টস স্কুল গঠনের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হলো।

যেখানে প্রতিভাবান ফুটবলাররা খেলার পাশাপাশি পড়ালেখা চালিয়ে নেয়ার সুযোগ পাবে। সপ্তাহে ২০ ঘন্টা অধিক ট্রেনিং এর লক্ষ্যমাত্রাও এতে সহজেই পূরণ হলো৷ জানিয়ে রাখা প্রয়োজন কেভিন ডি ব্রুইনা, ড্রাইস মার্টেন্স, আক্সেল উইটসেল, থিবো কর্তোয়া, নাসের চাদলি, মউসা ডেম্বেলের মতো অনেক সুপরিচিত বিশ্বমানের বেলজিয়ান ফুটবলারই এসব স্কুল থেকে নিজের গ্র‍্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।

পাশাপাশি স্যাবলনের পরামর্শে বেলজিয়ান সরকারও ফুটবল শেকড় আরো গভীরে নিয়ে যেতে ফেডারেশনের বাইরে গিয়েও কিছু প্রকল্প হাতে নেয়, যা পরবর্তীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এরকমই একটি প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল বাচ্চাদেরকে খেলাধুলা বিষয়ক কিছু ব্যাসিক মুভমেন্ট শেখানো। যেমন রানিং, জাম্পিং, কিকিং, থ্রোয়িং, পাসিং। এগুলোর উদ্দেশ্য একান্তই কেবল ফুটবল শেখানোর জন্য না হলেও, ফুটবলের প্রাথমিক জ্ঞান বাচ্চাকাল থেকে গেঁথে যেতে বেশ সহায়তা করে।

তবে তৎকালীন সময়ে স্যাবলন সবচেয়ে বড় যে প্রজেক্টের জন্য আলোচিত ছিলেন, তা হলো ‘দ্য লুভেন’ প্রজেক্ট। এই প্রজেক্টের ভিতরে দেশব্যাপী ১৫০০ ফুটবল ম্যাচের ভিডিও ধারণ করে, পাশাপাশি ম্যাচ বিষয়ক রিপোর্ট সংযুক্ত করে টেবিলে উপস্থাপন করা হলো। পরবর্তীতে এসব আলোচনা, পর্যালোচনার মাধ্যমে আউটপুট কেন আসে না তা বিচার বিশ্লেষণ করা হলো।

দেখা গেল, অধিকাংশ স্থানীয় পর্যায়ের কোচই নিজের চাকরি বাঁচানোর জন্য স্কোরকার্ডকে অহেতুক গুরুত্ব দিয়ে চলেন এবং স্কোয়াডে সকল সদস্যকে একরকম মূল্যায়ন করেন না। ফলে মাঠে অনেক খেলোয়াড়ই এক মুহুর্তের জন্যও খেলার সুযোগ পায় না।

যারা হয়তো মেধাগত কারণেই কিছুটা স্কিলফুল অথবা ফিজিক্যালি স্ট্রং, তাদেরকেই কোচ ম্যাচের পর ম্যাচ খেলিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে যেটা হয়, অনেকে ম্যাচের পর ম্যাচ বঞ্চিত থাকায় বিরক্ত বা নিরাশ হয়ে পড়ে ও একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ঝড়ে পড়ে। সুতরাং এসব কারণে কোচদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলো, এবং অচিরেই খেলোয়াড়দের প্রতি সমান মূল্যায়ন করার আহ্বান জানানো হলো।

অপরদিকে স্থানীয় বিভিন্ন কম বয়সী খেলোয়াড়দের শারীরিক গড়নের বিষয়গুলো আলোচনায় গুরুত্ব পায়। অর্থাৎ একই দলে সদস্যের বয়সের ব্যবধান বেশি হওয়ায়, কম বয়সী খেলোয়াড়কে মাঠে পেরে উঠতে দেখা যায় না। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে বয়স ভিত্তিক দল বানানো হলো। যেখানে অনূর্ধ্ব ১৩ এর ফুটবলার, অনূর্ধ্ব ১৬ এর সাথে ট্রেনিং করতে পারবে এবং ম্যাচও খেলতে পারবে।

এভাবে আসতে বয়সের ব্যবধান থাকলেও খেলার মানে ব্যবধান কমতে শুরু করে। এমনকি ম্যাচগুলোতে প্রতিটি খেলোয়াড় কয়বার বলকে স্পর্শ করেছে সেটি পর্যন্ত হাতে গোণা হত। কিন্তু এতেও নতুন ধরনের সমস্যা তৈরি হলো। দেখা গেল ১১ বনাম ১১ জন খেলায় অনেক খেলোয়াড়ই আছে যারা বলকে ১০ বারও স্পর্শ করতে পারছে না। তাই এবার অনূর্ধ্ব ১২, ১১, ৭, ৯ তৈরি করা হলো৷ তবে এতে অনূর্ধ্ব ১২-তে ১১ বনাম ১১, অনূর্ধ্ব ১১ তে ৭ বনাম ৭, অনূর্ধ্ব ৯ এ ৫ বনাম ৫ এবং অনূর্ধ্ব ২ বনাম ২ দিয়ে খেলানো শুরু হলো।

এতে হতো কি প্রতিটা ম্যাচে তারা ১০ বারের ওপর বল স্পর্শ করতে পারতো৷ আর এতে তাদের সৃজনশীলতা, দক্ষতা সবই প্রতিনিয়ত পরিপক্ক হতে থাকে৷ তাছাড়া মাঠের খেলার বাইরে গিয়ে তাদের মধ্যে জেতার মানসিকতা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীলতা, ব্যক্তিত্ব গঠন নিয়েও কাজ শুরু হয়। স্যাবলনের মতে ১৪-১৮ বছর বয়সটা হলো টেকনিক্যাল সামর্থ্য তৈরির আদর্শ সময়, ১৪-১৮ এর সময়টা হলো দলগত কাজ এবং পজিশনিং দিকটিকে উন্নত করার এবং ১৮ বছরের পরবর্তী ধাপটা হলো প্রফেশনালিজম আয়ত্ব করার। এই ভাবনা দিয়েই বেলজিয়ামের বয়সভিত্তিক দলগুলোকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন।

আগেই বলেছি, স্যাবলন শুধু কাঠামোতে নয় বরং দর্শনকেও আমলে নিতে চেয়েছিলেন। তিনি এটিও স্পষ্ট বুঝেছিলেন, ক্লাবগুলোর কোনো নিজস্ব ও নির্দিষ্ট দর্শন নেই। যদিও অধিকাংশ ক্লাবই ৪-৪-২ অথবা ৩-৫-২ ফরমেশনে খেলতো। জাতীয় দলেও এসব ফরমেশনের প্রভাব দেখা যেত। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে স্যাবলন বরাবরই ছিলেন ইয়োহান ক্রুইফ বা টোটাল ফুটবলের ভক্ত। যার কারণে তাঁর নির্দেশে ৪-৪-২ ফরমেশন এর পরবর্তীতে দেশব্যাপী প্রায় সকল ক্লাবে, তাদের একাডেমী ও বয়স ভিত্তিক দলে ৪-৩-৩ ফরমেশনকে বাস্তবায়ন করা হলো।

মিচেল স্যাবলনের একের পর এক বড় বড় মাস্টারস্ট্রোকের ওপর দাঁড়িয়ে আছে আজকের বেলজিয়াম ফুটবল৷ তাঁর সুচিন্তা, মাঠে কঠিন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সামর্থ্য, সঠিক দর্শন ও সর্বোপরি চমৎকার দূরদর্শিতা আজ বেলজিয়ামকে ফুটবল বিশ্বে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। পাশাপাশি স্যাবলনের অবস্থানকে শক্তিশালী ও সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করতে, বেলজিয়ামে ফুটবল ফেডারেশন ও সরকারের ভূমিকাও এখানে অনস্বীকার্য।

২০০২ বিশ্বকাপে স্কোয়াডে মাত্র তিন জন এমন ছিল যারা বেলজিয়ামের পেশাদার লিগ ছাড়া ইউরোপের অন্য কোনো লিগ খেলতো। মাত্র এক যুগের ব্যবধানে দেখা গেল, ১৪’ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে মাত্র এমন তিন জন ছিল যারা বেলজিয়ামের পেশাদার লিগে খেলতো, বাকি সবাই ইউরোপের টপ লিগে খেলতো।

একে বলে সত্যিকারের গুণগত রূপান্তর! গত বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান তথা নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রাপ্তিই বলে দিচ্ছে দুই দশকে শক্তিশালী কাঠামো প্রতিষ্ঠার কাজটি তারা সম্মিলিত পরিকল্পনায় কতটা নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করেছে। সুতরাং হঠাৎ এই সোনালি প্রজন্মের উত্থান ভাগ্যক্রমে আসা নয়।

আজ আন্তর্জাতিক ফুটবলে রেড ডেভিল তথা লাল শয়তান হিসেবে পরিচিত বেলজিয়াম ফেভারিটের তকমা লাগিয়ে ঘুরছে। দীর্ঘদিন ফিফা র‍্যাঙ্কিং-এও প্রথম পজিশন ধরে রেখেছে দেশটি। ক্যারিশমাটিক খেলার ধরন দিয়ে হাজার্ড, ব্রুইনে, লুকাকুদের বিশ্বশাসন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বেলিজিয়ান খেলোয়াড়েরা রীতিমতো হয়ে উঠছে নিজ ক্লাবের পোস্টারবয়৷

এভাবে চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য থেকে হয়তো কেবল একটি গোল্ডেন জেনারেশন তৈরি হলো। কিন্তু এর মধু এখনো ফুরিয়ে যায়নি। হাজার্ড, ব্রুইনে, কোর্তোয়া, লুকাকু, মুনিয়ের পর্যন্তই না বরং টিয়েইলসম্যান, জেরেমি ডকু, কেটেলায়েরে, ভারসকায়েরেন, সায়েলসমেকার, ভ্যান হুইজডেন, লোকোঙ্গাদের মতো একঝাঁক তরুণ তুর্কিরা যে বার্তা দিচ্ছেন তাতে বেলজিয়ামের ফুটবল যাত্রার ভবিষ্যৎ নি:সন্দেহে উজ্জ্বল।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...