টেস্টের সেরা অলরাউন্ডার স্টোকস

স্টোকসের রেটিং পয়েন্ট ৪৯৭। ২০০৮ সালের এপ্রিলে জ্যাক ক্যালিস যখন শীর্ষে ছিলেন তখন, এই প্রোটিয়ার রেটিং পয়েন্ট ছিল ৫১৭। এর পর তাঁর সবচেয়ে কাছে আসতে পারলেন কেবল স্টোকস। লম্বা সময় ধরে শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসানও পারেননি।

ইংল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট সিরিজটা ‍মূলত বিশ্বের সেরা দুই অলরাউন্ডারের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। সাউদাম্পটনে অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের সুবাদে ‍চূড়ায় উঠেছিলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। বেন স্টোকস সেটা স্থায়ী হতে দিলেন না। ম্যানচেস্টারে তিনি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ যা যা করা সম্ভব সবই করলেন, ফলাফল টেস্ট অলরাউন্ডারদের চূড়ায় উঠলেন এই ইংলিশ সহ অধিনায়ক।

প্রথমবারের মত টেস্ট অলরাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠলেন ২৯ বছর বয়সী বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের জন্যও এটা বড় অর্জন। কারণ, ২০০৬ সালে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের পর এবারই প্রথম কোনো ইংলিশ অলরাউন্ডার এই মাইলফকে পৌঁছালেন।

আর সেটাও খুব অতিমানবীয় কায়দায়। স্টোকসের রেটিং পয়েন্ট ৪৯৭। ২০০৮ সালের এপ্রিলে জ্যাক ক্যালিস যখন শীর্ষে ছিলেন তখন, এই প্রোটিয়ার রেটিং পয়েন্ট ছিল ৫১৭। এর পর তাঁর সবচেয়ে কাছে আসতে পারলেন কেবল স্টোকস। লম্বা সময় ধরে শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসানও পারেননি।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই মোট ৫৪ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছেন স্টোকস। ম্যানচেস্টারে ম্যাচজয়ী পারফর‌ম্যান্স করা স্টোকস ব্যাট হাতে করেছেন ২৫৪ রান। আর সাথে আছে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পান তিনি।

এখন হোল্ডারের চেয়ে ৩৮ রেটিং পয়েন্টে এগিয়ে গেলেন স্টোকস। ওল্ড ট্রাফোর্ডে বীরত্বের সুবাদে তিনি ব্যাটসম্যানদের র‌্যাংকিংয়েও তিনে চলে এসেছেন। এখানে তাঁর সাথে যৌথ ভাবে আছেন অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেন। প্রথম দু’টি স্থানে যথারীতি আছেন যথাক্রমে স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া) ও বিরাট কোহলি (ভারত)।

টেস্ট অলরাউন্ডারদের শীর্ষ পাঁচ

র‌্যাংকখেলোয়াড়দলরেটিং পয়েন্ট
বেন স্টোকসইংল্যান্ড৪৯৭
জেসন হোল্ডারওয়েস্ট ইন্ডিজ৪৫৯
রবীন্দ্র জাদেজাভারত৩৯৭
মিশেল স্টার্কঅস্ট্রেলিয়া২৯৮
রবিচন্দ্রন অশ্বিনভারত২৮১

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...