বয়স কোনো বাঁধা নয় তাঁদের

পেসারদের কাজটা সবসময়ই কঠিন। ১৬০ গ্রামের ওই বলটাকে প্রতিনিয়িত ১৪০-১৫০ গতিতে ছুড়ে যাওয়া সহজ কাজ নয়। শারীরিক ভাবেও প্রচণ্ড চাপ যায় একজন পেস বোলারের উপর। এছাড়া পেসারদের ইনজুরি প্রবণতাও অনেক বেশি থাকে। ফলে একটা বয়সের পর পেসারদের খেলে যাওয়াটা সহজ কথা নয়।

ক্রিকেট দিন দিন ব্যাটসম্যানদের খেলা হয়ে যাচ্ছে এই অভিযোগ অনেকেরই। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই অভিযোগ একেবারে অগ্রাহ্য করা যায় না। এছাড়া পেসারদের কাজটা সবসময়ই কঠিন। ১৬০ গ্রামের ওই বলটাকে প্রতিনিয়িত ১৪০-১৫০ গতিতে ছুড়ে যাওয়া সহজ কাজ নয়। শারীরিক ভাবেও প্রচণ্ড চাপ যায় একজন পেস বোলারের উপর। এছাড়া পেসারদের ইনজুরি প্রবণতাও অনেক বেশি থাকে।

ফলে একটা বয়সের পর পেসারদের খেলে যাওয়াটা সহজ কথা নয়। তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাধারণ তরুণ পেসারদেরই বেশি দেখা যায়। তাঁরাই বেশি সাফল্য পান। তবে বিশ্বক্রিকেটে এখনো কয়েকজন পেসার আছে যারা বয়সকে হার মানিয়ে এখনো বোলিং করে যাচ্ছেন। ত্রিশ পেরোনো সেই সব পেসারদের নিয়েই এই তালিকা।

  • জেমস অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড)

ইংল্যান্ডের এই পেস বোলারের বয়স এখন ৩৮ বছর। তবে টেস্ট ক্রিকেটে এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই পেসার। ১৬২ টেস্টে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৬৭১ টি। টেস্টে তাঁর বোলিং গড় ২৬.৬৭। এই বয়সে এসেও বিশ্বের যেকোনো কন্ডিশনেই এখনো সমান কার্যকর এই ব্যাটসম্যান। পেসারদের মধ্যে জিমিই বিশ্বের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এছাড়া তাঁর ক্যারিয়ারে ৫ উইকেট আছে ৩০টি এবং ৩ বার নিয়েছেন ১০ উইকেট। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৯০৪টি।

  • ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড)

বিশ্ব ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়ানো আরেক ৩০ উর্ধব পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। নিউজিল্যান্ডের এই পেসারের বয়স এখন ৩১ বছর। এখনো তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন তিনি। বাঁহাতি এই পেসার এখন অবধি খেলেছেন ৭২ টি টেস্ট, ৯৩ টি ওয়ানডে ও ৩৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তাঁর উইকেট সংখ্যা যথাক্রমে ২৮৭, ১৬৯ ও ৪৬।

  • মিশেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)

মিশেল স্টার্কও বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পেসারদের একজন। অস্ট্রেলিয়ার এই পেসারের বয়স এখন ৩১ বছর। বাঁহাতি এই পেসার দেশটির হয়ে নিয়মিত টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে যাচ্ছেন। স্টার্কের স্যুইং ও ইয়র্কারে এখনো হিমশিম খাচ্ছে নামী দামী সব ব্যাটাররা। ৬১ টেস্টে তাঁর ঝুলিতে আছে ২৫৫ উইকেট। এছাড়া ৯৬ ওয়ানডে ও ৩৫ টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ঝুলিতে আছে ১৮৪ ও ৪৭ উইকেট।

  • স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড)

আমাদের তালিকার আরেক পেসার হচ্ছেন স্টুয়ার্ড বর্ড। ইংল্যান্ডের এই পেসারের বয়স এখন ৩৪ বছর। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও এখনো নিয়মিত টেস্ট ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন এই পেসার। ডান হাতি এই পেসার ১৪৮ টেস্টে  ২৭.৭২ গড়ে নিয়েছেন ৫২৩ উইকেট। ১৮ বার পাঁচ উইকেট ও ৩ বার দশ উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে এই বোলারের। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও তিনি নিয়েছেন ৬৯ টি উইকেট।

  • ইশান্ত শর্মা (ভারত)

ভারতের পেস বোলিং অ্যাটাকের অন্যতম অস্ত্র ইশান্ত শর্মা। টেস্ট ক্রিকেটে এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই পেসার। ভারতের এই পেসারের বর্তমান বয়স ৩২ বছর। ১০১ টেস্টে ৩২.২৭ গড়ে তাঁর ঝুলিতে আছে ৩০৩ উইকেট। ক্যারিয়ারে ১১ বার পাঁচ উইকেট ও ১ বার দশ উইকেট নেয়ার কীর্তিও আছে তাঁর। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ১১ টেস্টে এই পেসার নিয়েছেন ৩৬ উইকেট।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...