একটা আইপিএল দিয়ে বদলে গিয়েছে রিয়ান পরাগ, সবার বিদ্রূপের বস্তু থেকে হয়ে উঠেছেন প্রশংসনীয়। এবার তিনি বোধহয় নিজের পরিচয়টাও বদলাতে চাচ্ছেন, ব্যাটার হিসেবে নয় বরং বোলার হিসেবেই দিন দিন তাঁর খ্যাতি বাড়ছে। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে বোলিং দিয়েই তাঁকে বাজিমাত করতে দেখা গিয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে এখনো ব্যাট হাতে বলার মত কিছু করতে পারেননি এই ডান-হাতি। কিন্তু চামড়ার গোলকটাকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন ঠিকই; শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাঁচ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। আর এবার ওয়ানডে অভিষেকে পুনরায় দেখিয়েছেন নিজের ঝলক।
এদিন পুরোদস্তুর নিয়মিত বোলারের মতই নয় ওভার হাত ঘুরিয়েছেন এই তরুণ। নিয়েছেন তিন তিনটি উইকেট, বিনিময়ে খরচ করেছেন ৫৪ রান। তবে তাঁর তিন উইকেটের গুরুত্ব স্রেফ সংখ্যায় ব্যাখ্যা করা যায় না। ম্যাচে যখন পিছিয়ে পড়েছিল ভারত, তখন তিনিই বার বার ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন।
আভিষ্কা ফার্নান্দোর দারুণ ব্যাটিংয়ে উড়তে থাকা শ্রীলঙ্কাকে নিজের তৃতীয় ওভারেই মাটিতে নামিয়ে আনেন পরাগ, দারুণ এক ক্যারাম ডেলিভারিতে লঙ্কান ওপেনারকে বোকা বানান তিনি। পরের ওভারে প্রথম বলে চারিথ আসালঙ্কা একটা ছয় হাঁকিয়েছিলেন, কিন্তু চার বল পর তাঁকেই নিজের শিকার বানান।
এরপর টানা ডট বল আদায় করে নিয়েছিলেন এই স্পিনার, তারপরই ইনফর্ম দুনিথ ওয়েলেলাগের স্ট্যাম্প উপড়ে দেন ক্লাসিক এক অফ স্পিনের মাধ্যমে। তাঁর এমন বিধ্বংসী স্পেলের সুবাদে ১৭১/১ থেকে ১৯৯/৬ এ রূপ নেয় স্বাগতিকদের স্কোরকার্ড।
স্টিভেন স্মিথ দলে এসেছিলেন বোলার হিসেবে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তিনি হয়ে উঠেছেন টপ অর্ডার ব্যাটার; রিয়ান পরাগ কি উল্টো পথে হাঁটবেন? উত্তরটা অবশ্য সময় বলে দিবে, তবে তিনি যে টিম ইন্ডিয়ার জন্য এক্স ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছেন সেটা বলাই যায়।