প্রায় বিশগজ দূর থেকে দিয়েগো গোমেজ একটা বোমা উড়িয়ে মেরেছিলেন ব্রাজিলের দিকে। সেই গোলার আঘাতে কেঁপে উঠেছিল ব্রাজিলের গোলপোস্ট, সেই সাথে প্যারগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুর ভাগেই পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল তাঁদের।
কিন্তু, কি আশ্চর্য, ম্যাচের বাকি সময় এই একটা গোলই শোধ দিতে ব্যর্থ হয়েছে সেলেসাওরা; ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগোর মত তারকা থাকা সত্ত্বেও আক্রমণভাগ থেকে প্রাপ্তি ছিল শূন্য।
ফলে তুলনামূলক খর্বশক্তির দলটার কাছেই হারতে হলো তাঁদের। এই নিয়ে বাছাই পর্বের শেষ পাঁচ ম্যাচে চতুর্থবারের মত পরাজয়ের মুখ দেখলো দলটি। ২০০৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাছাই পর্বে ৭১ ম্যাচ খেলে মাত্র পাঁচ বার হেরেছিল ব্রাজিল, অথচ এবার আট ম্যাচেই চার হার!
যদিও ম্যাচের আগে কোচ ডরিভাল জুনিয়র বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই দাবি করেছিলেন ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে ব্রাজিল। কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ব্রাজিলের হাল দেখলে ডরিভালের স্বপ্ন হাস্যকরই মনে হবে।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে পারবে। এদিকে আট ম্যাচ খেলে ব্রাজিল এখন আছে পাঁচ নম্বরে, ঝুলিতে স্রেফ দশ পয়েন্ট। ছয় নম্বরে থাকা ইকুয়েডরের পয়েন্টও দশ, আবার সাত ও আট নম্বরে থাকা প্যারাগুয়ে এবং বলিভিয়ার সঙ্গে ব্যবধান এক পয়েন্টের।
অর্থাৎ ব্রাজিলের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলাই এখন সংশয়ের মুখে পড়েছে ৷ আগামী ম্যাচগুলোতে এভাবে হোঁচট খেলে হয়তো বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়ার নিষ্ঠুরতম অভিজ্ঞতা হবে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
কিন্তু কেমন এমনটা হচ্ছে, বারবার বিভিন্ন ছকে বিভিন্ন ফুটবলারকে খেলিয়েও মন মতো সাফল্য পাচ্ছে না ব্রাজিল। ২০২২ বিশ্বকাপের পর থেকেই ক্রমাগত অবনতির দিকে হাঁটছে তাঁরা, মিডফিল্ড তো অনেক আগ থেকেই নড়বড়ে ছিল আর এখন নেইমার জুনিয়র না থাকায় পুরোপুরি নির্বিষ হয়ে পড়েছে তাঁদের আক্রমণভাগ।
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ভিনি, রদ্রিগোর পাশপাশি শুরুর একাদশে খেলেছেন এন্ড্রিক। তিনজনই ছিলেন সুপার ফ্লপ, যদিও ক্লাবের জার্সিতে ঠিকই আলো ছড়ান তাঁরা। দলের বাকিরাও যে যার মত ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স করে চলছেন; এখন তাই কোটি টাকার প্রশ্ন, এই দু:স্বপ্নের শেষ কোথায়?