ব্রায়ান বেনেট, জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যৎ

মারকাটারি ক্রিকেটটা বেশ ভালোই বোঝেন ব্রায়ান বেনেট। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করতে পারেন, ক্যারিয়ার জুড়ে রান করেছেন ১৩৫ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে। সাথে টুকটাক অফস্পিন করার সক্ষমতা। ফলে, মাত্র বিশ বছর বয়স আর ১১ টা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায় সুযোগ পেয়ে যান জিম্বাবুয়ের জাতীয় দলে।

মারকাটারি ক্রিকেটের ধারা বেনেট বজায় রাখেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও। রান দ্রুতই আসছিলো কিন্তু বড় ইনিংস খেলা হচ্ছে না। অবশেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ব্রায়ান বেনেট খেললেন ৪৯ বলে ৭০ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই বাংলাদেশ সফরে অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশ ছুড়ে দেয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য পাহাড়সম না হলেও, মিরপুরের উইকেটে মামুলি নয়। এর মধ্যে সিরিজের প্রথম চার ম্যাচই হেরে বসেছে জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও হারতে হয়েছে ৫ রানের ব্যবধানে। ফলে, জিম্বাবুয়ের আত্মবিশ্বাস তলানিতে থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বেনেট এইদিনে উইকেটে এসেছিলেন ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে।

ইনিংসের প্রথম বলেই শেখ মেহেদী হাসানকে এক্সট্রা কাভার অঞ্চল দিয়ে চার মেরে আগ্রাসনের জানান দিয়েছিলেন বেনেট। এক বল পরে আবারও চার। তবে শেখ মেহেদীর উপরে সবথেকে বড় ঝড় বয়ে যায় ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। টানা তিন বলে হাকান এক চার এবং দুই ছক্কা। জিম্বাবুয়ে পায় উড়ন্ত সূচনা।

পাওয়ার প্লে শেষেও কমে নি বেনেটের আক্রমণের ধার। রিশাদ-সৌম্য কেউই রক্ষা পান নি তাঁর আগ্রাসন থেকে। কেবল সাকিবকেই যতটুকু সমীহ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৩৬ বলে পূর্ণ করেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক।

ব্যক্তিগত মাইলফলকও তুষ্ট করতে পারে নি বেনেটকে। বজায় রানের রানের গতি। শেষপর্যন্ত ষোলোতম ওভারে যখন সাইফুদ্দিনের বলে আউট হয়ে ফিরছেন, জিম্বাবুয়ে তখন জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। বেনেটের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৪৯ বলে ৫ চার আর ৫ ছক্কায় সাজানো ৭০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। জয়ের পথে বাকি কাজ সারতে সিকান্দার রাজাকে আর বেগ পোহাতে হয় নি।

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফস্পিনটাও খারাপ করেন না ব্রায়ান বেনেট। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে সাকিব, শান্তর উইকেট তুলে নেয়ার পরে এদিন তুলে নিয়েছেন সৌম্য, হৃদয়ের উইকেট। ফলে, পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে যোগ্য খেলোয়াড় হিসেবেই জিতেছেন ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরষ্কার। এখন কেবল বেনেটের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link