তাইজুলের ভেলকিতে চট্রগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে মাত্র ২৮৬ রানেই গুড়িয়ে যায় পাকিস্তান। তাইজুল একাই শিকার করেন ৭ উইকেট। ৪৪ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শাহীন আফ্রিদির তোপে মাত্র ২৫ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে টাইগাররা। তৃতীয় দিনশেষে ৪ উইকেটে ৩৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৩ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ দল।
আগের দিনের বিনা উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে দিনের প্রথম ওভারেই পর পর দুই বলে আব্দুল্লাহ শফিক ও আজহার আলীকে তুলে নেন তাইজুল। শফিক ৫২ ও আজহার আলী ফিরেন গোল্ডেন ডাকে। মেহেদী মিরাজের দুর্দান্ত ঘূর্ণিতে অধিনায়ক বাবর আজমও ফিরেন দ্রুতই। দারুন ছন্দে থাকা ফাওয়াদ আলম ফিরেন লিটনের অসাধারণ এক ক্যাচে। ১৮২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন বিপাকে পাকিস্তান।
একপ্রান্তে তখনো ঠায় দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরিয়ন আবিদ আলী। আরেকপ্রান্তে ভীত গড়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে লাঞ্চ বিরতির পরেই নতুন বলে দারুন এক ইনস্যুইংগারে রিজওয়ানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন পেসার এবাদত হোসেন। এরপরই ব্যক্তিগত ১৩৩ রান করে তাইজুলের ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন আবিদ আলী। ২১৭ রানেই পাকিস্তানের তখন ৭ উইকেট নেই। এরপর এক চার ও এক ছক্কায় ঝড়ো শুরু করলেও তাইজুল ম্যাজিকে স্টাম্পিং হয়ে বিদায় নেন হাসান আলী। তাইজুল শিকার করেন ফাইফার।
এবাদতের দারুণ ইনস্যুইংয়ে বোকা বনে যান সাজিদ খানও! বোল্ড হয়ে ফিরেন তিনি। একপ্রান্তে ধীরে ধীরে রান তুলছিলেন ফাহিম আশরাফ। আরেক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছিলো দল। নুমান আলীও ফিরেন দ্রুতই। ২৫৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে তখন ব্যাকফুটে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনা ছিলো বড় লিড পাওয়ার। তবে শেষ উইকেটে ফাহিম ও শাহীন আফ্রিদির ২৯ রানের জুটি পাকিস্তানকে অনেকটাই এগিয়ে দেয়। দলীয় ২৮৬ রানে তাইজুলের সপ্তম শিকার হয়ে ফাহিম আউট হলে নিজেদের প্রথম ইনিংসে গুড়িয়ে যায় পাকিস্তান। ফাহিম আশরাফ করেন ৩৮ রান। তাইজুল একাই শিকার করেন ৭ উইকেট।
৪৪ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শাহীন আফ্রিদির বোলিং তোপে মাত্র ২৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। দলীয় ১৪ রানে এক ওভারেই দুই উইকেট তুলে নেন শাহীন। পরের ওভারেই হাসান আলীর বলে ডাক মেরে ফিরেন মুমিনুল হক। সাইফ ১৮ রান পেলেও সাদমান ১ ও মুমিনুল-শান্তরা ফিরেন খালি হাতেই! দিনশেষে ৪ উইকেটে ৩৯ রান করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা এগিয়ে আছে ৮৩ রানে!
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: বাংলাদেশ
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস) – ৩৩০/১০ (১১৪.৪ ওভার); লিটন ১১৪ (২৩৩), মুশফিক ৯১ (২২৫), মিরাজ ৩৮* (৬৮) ; হাসান ২০.৪-৫-৫১-৫, শাহীন ২৭-৮-৭০-২, ফাহিম ১৪-২-৫৪-১, সাজিদ ২৭-৫-৭৯-১।
ও দ্বিতীয় ইনিংস – ৩৯/৪ (১৯ ওভার); মুশফিক ১২* (৩০), ইয়াসির আলী ৮* (৩৪); শাহীন ৬-৪-৬-৩, হাসান ৫-০-১৯-১।
পাকিস্তান ( প্রথম ইনিংস) – ২৮৬/১০ (১১৫.৪ ওভার); আবিদ ১৩৩ (২৮২), শফিক ৫২ (১৬৬), ফাহিম ৩৮* (৮০); তাইজুল ৪৪.৪-৯-১১৬-৮, এবাদত ২৬-৭-৪৭-২, মিরাজ ৩০-৭-৬৮-১।