টানা দুই ম্যাচ জিতে বিশ্ব জয়ের মিশন দারুণভাবে শুরু করেছিল পাকিস্তান, কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের সবকিছু যেন বদলে গিয়েছে। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সাথে হারার পর এবার আফগানিস্তানের কাছেও অপ্রত্যাশিত অঘটনের শিকার হয়েছে তাঁরা।
সবমিলিয়ে হেরে যাওয়ার হ্যাটট্রিক করেছে বাবর আজমের দল, আর সেজন্য তাঁদের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা নেমে এসেছে অনেক নিচে। যদিও সব সম্ভাবনা এখনি শেষ হয়ে যায়নি, টুর্নামেন্টের বাকি অংশে ভাল খেলতে পারলে টপ ফোরে জায়গা পাবে তাঁরা।
তবে এই ভালো বলতে কতটুকু – সেটা জানলে বিস্মিত হতে হবে। সেমিতে উঠতে চাইলে পাকিস্তানকে জিততে হবে পরের চার ম্যাচের সবকয়টি; আর এতে ব্যাঘাত ঘটলে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাবে ১৯৯২ বিশ্চচ্যাম্পিয়নদের।
বাকি ম্যাচগুলো জিতলে পাকিস্তানের পয়েন্ট হবে ১২। পরের রাউন্ডে যেতে এটাই যথেষ্ট হতে পারে, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা বা অস্ট্রেলিয়ার মত দলগুলোর পয়েন্টও রাউন্ড রবিন লিগ শেষে ১২ বা তার বেশি হতে পারে। তাই শাহীন শাহ আফ্রিদিদের শুধু জিতলেই হবে না, নজর রাখতে হবে নিজেদের নেট রান রেটের দিকেও।
অবশ্য পাকিস্তানের জন্য সহজ কোন প্রতিপক্ষ অপেক্ষা করছে না। আগামী ২৭ অক্টোবর তাঁদের মাঠে নামতে হবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে; এরপর ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ এবং ৪ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে। সবশেষ ১১ নভেম্বর বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সাথে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হবে দলটির। তাই তো বলা যায়, টানা চার ম্যাচ জেতা দুর্গম কোন পথ পাড়ি দেয়ার মতই কঠিন হতে যাচ্ছে।
টেবিলের এক ও দুই নম্বর স্থান আপাতত ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের দখলে। স্বাগতিকরা পাঁচ ম্যাচের সবকয়টি জিতে ইতোমধ্যে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে; অন্যদিকে কিউইরাও সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে জিতেছে চারটিতে, কোন অঘটন না ঘটলে তাঁরাও সেরা চার দলের একটি হবে।
এই দুইটি স্থানের তুলনায় তিন ও চার নং পজিশন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি। তিনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্টস ছয় এবং চারে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্টস চার। তারপরেই আছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান, এই দুই দলের পয়েন্টও অস্ট্রেলিয়ার সমান। এখন দেখার বিষয়, লিগ পর্ব শেষে কোন দলের অবস্থান কি হয়।