মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারকে কি বর্নাঢ্য বলা চলে? উত্তরটা বোধহয় না, তাঁর ক্যারিয়ারের তুলনা আসলে মধ্যবিত্ত জীবন। মধ্যবিত্ত জীবনে যেমন সুখ আর দুঃখ একে অপরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে তেমনি তিনি টি-টোয়েন্টিতে একইসাথে দেখেছেন সফলতা আর ব্যর্থতার আখ্যান।
নিদাহাস ট্রফির অঘোষিত সেমিফাইনালে ১৯ বলে ৪৩ রানের দুর্ধর্ষ একটা ইনিংস খেলে রিয়াদই বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন দেশের ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় জয়। আবার তিনিই আফগানিস্তানের বিপক্ষে যা করলেন তাতে লজ্জা পেয়েছে পুরো দেশ। সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশ দলের যখন ১৯ বলে ৪৩ রান প্রয়োজন ছিল, তখন নুর আহমেদের এক ওভারেই পাঁচ ডট দেন এই ডান-হাতি।
ভারতের বিপক্ষে ৩ বলে ২ রান নিতে পারার দায়ও আছে তাঁর কাঁধে। তবে, পরিসংখ্যান বিবেচনায় এই তারকা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বটে। লাল-সবুজ জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ১৩৯ ম্যাচ খেলেছেন, সবচেয়ে বেশি ৪০ ম্যাচে অধিনায়কত্বও করেছিলেন।
টি-টোয়েন্টিতে দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি, এখন পর্যন্ত করেছেন ২৩৯৫ রান। কোন সেঞ্চুরি না পেলেও করেছেন আটটি হাফ-সেঞ্চুরি, ব্যাটিং গড় ২৩.৪৮ আর স্ট্রাইক রেট ১১৮। দেশের ক্রিকেটে যা পঞ্চম সর্বোচ্চ গড় এবং দশম সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট। আবার দেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডেও নাম আছে তাঁর, ২০১২ সালে তামিম ইকবালের সাথে ১৩২ রানের জুটি গড়েছিলেন।
২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ওভারে দশ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টিতে যা চতুর্থ সেরা বোলিং স্ট্রাইক রেট। এছাড়া সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে হিট আউটের মাধ্যমে উইকেট পাওয়া ৩৩ জন বোলারের মধ্যে তিনি একজন।
ক্যাচিংয়েও কম যাননি সাইলেন্ট কিলার, ক্যাচের অর্ধ-শতক পূরণ করেছেন ইতোমধ্যে; যে কীর্তি নেই আর কোন টাইগার ক্রিকেটারের। এছাড়া এক ম্যাচে তিনটি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি, যৌথভাবে যা বাংলাদেশের সেরা।