শামসির ঘুর্ণিতে আটক ক্যারিবীয়ান ব্যাটাররা

দলে নিয়মিত সুযোগ না মিললেও, যখনই সুযোগ মিলছে নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে সাহায্য করছেন তাবরাইজ শামসি। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে আবারও দলে ফিরে নিজের ভেলকি দেখালেন তিনি।

দুই ম্যাচে দুই জয়েও সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অতিমানবীয় জয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চলে যায় ইংল্যান্ড। তাই সেমিফাইনাল খেলতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ম্যাচটি জয় ছাড়া বিকল্প নেই তাঁদের।

শুরুর একাদশে এদিন বার্টম্যানের জায়গায় দলে আসেন শামসি। নিজের প্রথম ওভারে সাফল্য না পেলেও দ্বিতীয় ওভারে এসেই তিনি তুলে নেন সেট ব্যাটার কাইল মায়ার্সের উইকেট। এর আগে অবশ্য একটি চার ও ছক্কা এসেছিল তাঁর সেই ওভার থেকে। কিন্তু মায়ার্সকে ফেরত পাঠিয়ে চেজের সাথে তাঁর ৮১ রানের জুটি ভাঙে শামসি।

নিজের তৃতীয় ওভারে এসে আবারও সাফল্য পান তিনি। এবার শামসির শিকার বিধ্বংসী ব্যাটার রাদারফোর্ড। চলমান বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক এক ইনিংস খেলে দলকে খাদের কিনারা থেকে জিতিয়েছিলেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটার। তবে এদিন রানের খাতা খোলার আগেই তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান শামসি।

বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে প্রথম মাঠে নামার সুযোগ পান শামসি। নেমেই নিজের ঘুর্ণিতে পরাস্থ করেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। নেপালের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। তবে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আশানুরূপ প্রদর্শন না করলে আবারও পরের ম্যাচে বাদ পরেন শামসি। তবে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফিরে এসে আবারও নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেন তিনি।

নিজের শেষ ওভারে এসে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন তিনি। আবারও একজন সেট ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরত পাঠান শামসি। দলকে একাই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া রস্টন চেজ ৫২ রানে শামসির ঘুর্ণির শিকার হন। ফলে ৮৬ রানে ২ উইকেট থেকে ৯৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাঁদের মিডিল অর্ডার ধ্বসিয়ে দেওয়ার কাজটি সফলভাবেই পালন করে শামসি। চার ওভার বল করে ২৭ রানের বিনিময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন তিনি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link