ঢাকাকে হারিয়ে সিলেটের পথে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

দুর্দান্ত ঢাকাকে পরাজয় উপহার দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষ করেছে শুভাগত হোমের দল। 

প্রথম ম্যাচ জয়ের পরে খেই হারিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে চার উইকেটে হেরেছিল তাঁরা। তবে ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় লাগেনি দলটির, দুর্দান্ত ঢাকাকে পরাজয় উপহার দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষ করেছে শুভাগত হোমের দল।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা অবশ্য শুরুতে ধাক্কা খায়। দ্বিতীয় ওভারে নিয়মিত ওপেনার দাসুন গুনাথিলাকা মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর সাইফ হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন দুজনেই ফিরেন উল্লেখযোগ্য কিছু করার আগেই। আগের ম্যাচের হাফসেঞ্চুরিয়ান নাইম শেখও থামেন ৮ রানের মাথায়।

৩১ রানে তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়া ঢাকার বিপদ আরো বাড়ে অ্যালেক্স রস রান আউটের ফাঁদে আটকা পড়লে। সেখান থেকে অবশ্য তাঁদের ম্যাচে ফেরান কনকাশন সাব লাসিথ ক্রুসপুল্লে; ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলীয় রান তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে দেন তিনি।

তবে ব্যক্তিগত ফিফটির চার রান দূরে থেকে এই লঙ্কান আউট হলে থমকে যায় স্কোরবোর্ডের গতি। শেষপর্যন্ত ইরফানের ২৭ রান এবং তাসকিন আহমেদের ১৫ রানে ভর করে ১৩৬ রান করতে সক্ষম হয় নবাগত ফ্রাঞ্চাইজিটি।

মাঝারি মানের সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শরিফুল ইসলামের তোপের মুখে পড়ে চট্টগ্রাম। খরুচে বোলিং করলেও আভিস্কা ফার্নান্দো এবং ইমরানউজ্জামানকে শিকার করেছেন তিনি। তবে যুব বিশ্বকাপজয়ী দুই তরুণ তানজিদ তামিম ও শাহাদাত হোসেন দীপু ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হতে দেননি। তাঁদের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় বন্দরনগরীর প্রতিনিধিরা।

তাঁদের ৬৩ রানের জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু এনে দেন পাকিস্তানি লেগস্পিনার উসমান কাদির; দীপুকে আউট করেন তিনি। তামিম অবশ্য অবিচল ছিলেন আরেক প্রান্তে, কিন্তু ৪৯ রানে এই বাঁ-হাতির উইকেট তুলে তাঁকে হতাশ করেন তাসকিন। ততক্ষণে ম্যাচ জমে উঠেছিল অনেকটা, ঢাকার সমর্থকেরা খানিকটা আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল।

যদিও নাজিবুল্লাহ জাদরানের তাতে থোড়াই কেয়ার, তিন ছক্কার মারে ১৯ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। আর তাতেই দশ বল আর ছয় উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় টিম চ্যালেঞ্জার্স।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...