জয়োধ্বনি পালটে হয়ে গেছে ‘ছাপড়ি, ছাপড়ি’

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার নব যাত্রা মোটেও সুখকর ছিল না। একে তো গুজরাট টাইটান্সের কাছে ৬ রানের হার। তাঁর উপর ম্যাচ শেষে দর্শকের ছাপড়ি, ছাপড়ি শ্লোগান। স্মৃতির পাতা থেকে ২৪ মার্চ, ২০২৪ তারিখটা মুছেই ফেলতে চাইবেন ভারতীয় এই অলরাউন্ডার।

ক্যারিয়ারের হয়ত অনেক চড়াই-উৎরাই ইতোমধ্যেই পার করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। বেশ বন্ধুর একটা পথ পাড়ি দিয়েই তিনি হয়েছেন আজকের তারকা। স্মৃতির গহীনে নিশ্চয়ই রয়েছে দুখস্মৃতির আনাগোনা কম নেই। সেই স্মৃতির পাতা থেকে ২৪ মার্চ, ২০২৪ তারিখটা মুছেই ফেলতে চাইবেন ভারতীয় এই অলরাউন্ডার।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার নব যাত্রা মোটেও সুখকর ছিল না। একে তো গুজরাট টাইটান্সের কাছে ৬ রানের হার। তাঁর উপর ম্যাচ শেষে দর্শকের ছাপড়ি, ছাপড়ি শ্লোগান।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পঞ্চম ম্যাচে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় গুজরাট টাইটান্স আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অন্যান্য ম্যাচের মত এই ম্যাচ সাধারণ কোনো ম্যাচ ছিল না। কেননা, এই ম্যাচ দিয়েই হার্দিক পান্ডিয়ার প্রত্যাবর্তন হয় মুম্বাইয়ে। তাও আবার তাঁরই সদ্য সাবেক ফ্রাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে। তাছাড়া মুম্বাইয়ে ফিরে এসেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান হার্দিক।

খেলার পুরোটা সম্য জুড়ে স্টেডিয়ামের পরিবেশ হার্দিকের প্রতিকূলে ছিল। দর্শক ক্রমাগত তাঁকে বিভিন্ন ভাবে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল। গুজরাট টাইটান্স থেকে বিদায় নেয়া এবং মুম্বাইয়ে ফিরে আসাই মূলত দর্শকের বিরক্তির কারণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় দর্শক তাঁকে উদ্দেশ্য করে ,’ছাপড়ি!, ছাপড়ি !’ শ্লোগান দিচ্ছে।

প্রথমে টসে জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় হার্দিকের দল। জাসপ্রিত বুমরাহ, জেরাল্ড কোয়েটজির বোলিং নৈপুণ্যে গুজরাটকে ১৬৮ রানে আটকে দেয় মুম্বাই। তবে বোলিংয়ে প্রথম ওভারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন অধিনায়ক নিজেই।

তবে নিজের সেরাটা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থই হন হার্দিক। মাঝারি স্কোরের ম্যাচে তিন ওভার বোলিং করে ১০.০০ ইকোনমিতে দেন ৩০ রান। নিতে পারেননি একটি উইকেটও। আবার ব্যাট হাতেও ঠিকঠাক জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। ১ চার আর ১ ছয়ে চার বলে করেন ১১ রান। যদিও তাঁর ২৭৫.০০ স্ট্রাইক রেট মুম্বাই শিবিরে আশার আলো জ্বালিয়েছিল।

শেষ ওভারে মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। তখনও বাইশ গজে ছিলেন হার্দিক। প্রথম দুই বলে চার-ছয় হাঁকালেও, তৃতীয় বলেই ফেরেন সাঝঘরে। মূলত সেখানেই গুজরাটের দিকে ম্যাচ ঘিরিয়ে দেন গুজরাটের বোলার উমেশ যাদব। চতুর্থ বলে আউট করেন পীযূষ চাওলাকে।

শেষ দুই বলে মাত্র দুই রান নিতে সমর্থ হয় মুম্বাই। যার ফলে জয় সুনিশ্চিত হয় গুজরাটের। আর কপাল পোড়ে হার্দিক পান্ডিয়ার। টুর্ণামেন্টের এখনো পুরোটাই বাকি। হার্দিক নিশ্চয়ই জয়ের ধার‍ায় ফিরতে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিবেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...