Social Media

Light
Dark

চেলসির সাফল্য বিহীন অর্থের ঝনঝনানি

ইতোমধ্যে দলটির স্কোয়াডে ফুটবলারের সংখ্যা চল্লিশের ঘর ছাড়িয়ে গিয়েছে; এদের মধ্যে এঞ্জো ফার্নান্দেজ আছেন, আছেন ময়েসেস কাইকেদো। দু'জনের জন্যই একশো মিলিয়ন ইউরোর বেশি লেগেছিল।

টড বোহেলি ক্লাবের মালিকানা পাওয়ার পর থেকে অন্যরকম সময় কাটাচ্ছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। না, মাঠের সাফল্যে ভেসে যায়নি তাঁরা বরং ভেসে গিয়েছে অর্থের স্রোতে। প্রতিটি ট্রান্সফার উইন্ডোতে একগাদা খেলোয়াড় কিনে স্কোয়াড ভারী করেছেন বোহেলি; এদের কোনটিই তেমন পরিকল্পিত ছিল না, স্রেফ ভাল লাগা থেকেই বোধহয় অর্থ খরচ করেছেন তিনি।

ইতোমধ্যে দলটির স্কোয়াডে ফুটবলারের সংখ্যা চল্লিশের ঘর ছাড়িয়ে গিয়েছে; এদের মধ্যে এঞ্জো ফার্নান্দেজ আছেন, আছেন ময়েসেস কাইকেদো। দু’জনের জন্যই একশো মিলিয়ন ইউরোর বেশি লেগেছিল। এছাড়া মুড্রিক, ক্রিস্টোফার এনকুনকুর মত সম্ভাবনাময়ী ফরোয়ার্ডের পিছনে কাড়ি কাড়ি ইউরো ঢালা হয়েছে। সবশেষ পেদ্রো নেতোকে ৫৪ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে কিনেছে তাঁরা।

সবমিলিয়ে টড বোহেলি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এক বিলিয়নের বেশি খরচ করে ফেলেছে দ্য ব্লুজরা। কিন্তু লাভের লাভ আদৌ হয়েছে কিছু? গত মৌসুমে লজ্জাজনক পজিশনে থেকে লিগ শেষ করেছে তাঁরা, চলতি মৌসুমের উদ্বোধনী ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হেরেছে ২-০ গোলে।

ক্লাবের বর্তমান হেডকোচের বক্তব্য শোনা যাক এবার। এঞ্জো মারেসকা বলেন, ‘আমি এখানে ৪০/৪২ জনের সঙ্গে কাজ করছি না। আমি ২১ জন ফুটবলারের সঙ্গে কাজ করছি। বাকি বিশ জন অন্য জায়গায় ট্রেনিং করে, আমি তাঁদের দেখিও না। আপনার মনে হতে পারে এটা বোধহয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, কিন্তু বাস্তবে তেমন নয়।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘পরিকল্পনার বাইরে থাকা ফুটবলারদের বিশ বছরের চুক্তি থাকতে পারে, সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি এসব পাত্তা দি না।’ – তাঁর এমন কথাতেই স্পষ্ট কোচিং প্যানেলের সঙ্গে কোনরূপ আলোচনা ছাড়াই প্লেয়ার সাইনিংয়ের উৎসব আয়োজন করেছে চেলসি।

এভারটন, ফুলহ্যাম, লেস্টার সিটির মত ক্লাব নিজেদের ইতিহাসে ট্রান্সফার খাতে যত অর্থ ব্যয় করেছে চেলসি গত দুই বছরেই এর চেয়ে বেশি ব্যয় করে ফেলেছে। যদিও ভক্তরা এতে খুশি নয় একটুও, সবার কাছেই সাফল্য বিহীন অর্থের ঝনঝনানি বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে।

Share via
Copy link