বড় জয়ে শেষ চার নিশ্চিত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের

বিপিএলের প্লে-অফ পর্ব শুরু আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। তবে তার আগেই যেন অঘোষিত এক এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জিতলেই শেষ চার নিশ্চিত- এমন 'ডু অর ডাই' সমীকরণের সেই ম্যাচটিতে ৬৫ রানের বড় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

বিপিএলের প্লে-অফ পর্ব শুরু আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। তবে তার আগেই যেন অঘোষিত এক এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জিতলেই শেষ চার নিশ্চিত- এমন ‘ডু অর ডাই’ সমীকরণের সেই ম্যাচটিতে ৬৫ রানের বড় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

অবশ্য বন্দর নগরীতে এ দিন প্রথম ইনিংসেই প্রায় ম্যাচভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। তাঁর সেঞ্চুরিতে ১৯২ রানের সংগ্রহ গড়েছিল চট্টগ্রাম। এর বিপরীতে লক্ষ্য থেকে রান দূরেই থেমে যায় খুলনার ইনিংস। ফলত, টানা ৪ জয় দিয়ে চলতি বিপিএল উড়ন্ত শুরু করলেও শেষমেশ সেরা চারেই ঠাই না হওয়ার প্রবল শঙ্কায় গেল দলটি।

বাঁচা-মরার এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম। চট্টগ্রামের হয়ে এ দিন অভিষেক হয়েছিল মোহাম্মদ ওয়াসিমের। তবে তিনি সাজঘরে ফিরে যান ব্যক্তিগত ১ রানেই। এরপর ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন তানজিদ তামিম। ৬৫ বলে খেলেন ১১৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যে ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৮ চার আর ৮ ছক্কার মারে।

তানজিদের এমন বিধ্বংসী ইনিংসের পর বাকি ব্যাটারদের তেমন জ্বলে ওঠার প্রয়োজনই পড়েনি। টম ব্রুস ২৩ বলে ৩৬ রানের একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন। আর তাতেই ১৯২ রানের বড় সংগ্রহের দেখা পায় স্বাগতিকরা।

১৯৩ রানের লক্ষ্যে শুরুতে পারভেজ ইমনের উইকেট হারালেও এনামুল হক বিজয় আর শাই হোপের কল্যাণে পাওয়া প্লে-টা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল খুলনা। কিন্তু উড়ন্ত শুরুর ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি বিজয়। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে এ ওপেনার ফিরে যাওয়ার পরই মূলত খুলনা ইনিংসে ভাঙন ধরতে শুরু করে।

এরপর রান আউটের চক্রে কাঁটা পড়ে ফিরে যান এভিন লুইসও। আর বিজয়ের মতোই উইকেটে থিতু হয়ে আউট হন শাই হোপ। মাত্র ২৫ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারানো খুলনা টাইগার্স এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। পরবর্তীতে জেসন হোল্ডার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্ঠা করলেও তা ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। নির্ধারিত ২০ ওভারের এক বল হাতে থাকতেই ১৪০ রানে থেমে যায় খুলনার ইনিংস। চট্টগ্রামের হয়ে ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন অধিনায়ক শুভাগত হোম।

৬৫ রানের এ জয়ের ফলে শেষ চার নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। অপর দিকে শেষ চারে জায়গা নিতে হলে অনেক ‘যদি কিন্তু’র পথ পাড়ি দিতে হবে খুলনাকে। নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে শুধু বড় জয় পাওয়াই তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। বরং অপর ম্যাচে বরিশালের বড় হারও তাদের কামনা করতে হবে। তবেই মিলবে শেষ চারের টিকিট।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...