সুপার সানডে ক্ল্যাশ

শুধু মাঠে নয়, লড়াই হবে ডাগ আউটেও। দুই দলের ডাগ আউটে থাকবেন সময়ের সেরা দুইজন গুরু; পেপ গার্দিওলা এবং ইয়ুর্গেন ক্লপ। প্রিমিয়ার লিগে হয়তো সেরা কোচের তালিকা করলে শীর্ষ দুইয়েই থাকবে তারা দুজন। ক্লপ এবং গার্দিওলা প্রিমিয়ার লিগে আসার পর লিভারপুল এবং ম্যানসিটির রাজত্ব চলছেই। ২০১৬-১৭ মৌসুমে শিরোপা জিতেছিল কন্তের চেলসি; এই মৌসুমটি বাদ দিলে বাকিটা সময়ে ম্যানসিটি এবং লিভারপুলের দাপট-ই চলছে। ফুটবল কোচিংয়ের ফেদেরার-নাদাল হয়তো তারা দুজন।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এবার শিরোপা’র লড়াইটা হচ্ছে সমানে-সমানে। টেবিল টপার ম্যানচেস্টার সিটি ৩১ ম্যাচ খেলে জিতেছে ২৩ ম্যাচে; সিটির সংগ্রহ ৭৩ পয়েন্ট। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচ কম জেতা লিভারপুলের পয়েন্ট ৭২। শিরোপা জয়ের পথে একে-অপরের নি:শ্বাস দূরত্বে অবস্থান করছে ক্লাব দু’টো।

সুপার সানডে মানেই রোমাঞ্চকর ম্যাচ। এ সপ্তাহে এবার হাজির হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে সফল দুই ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুল এর দ্বৈরথ নিয়ে। যেকোনো এক দলের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে এবার। এই ম্যাচ হারলে টেবিলের শীর্ষ স্থান থেকে নেমে যেতে হবে ম্যানসিটি-কে। অন্যদিকে ম্যাচ হারলে শিরোপা লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়বে লিভারপুল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ-ই হয়তো। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রোববার রাত সাড়ে নয়টায়।

মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে সামনে রেখে অনেকটাই নির্ভার দুই দল। দুই দলই রয়েছে দারুন ছন্দে। সর্বশেষ আট ম্যাচে অপরাজেয় ম্যানসিটি, অন্যদিকে লিভারপুল সর্বশেষ লীগ ম্যাচ হেরেছিল লেস্টার সিটি’র বিপক্ষে, তেরো ম্যাচ আগে।

গোল করার হারেও দুই দলের লড়াই সমানে সমানে। প্রতি ম্যাচে সিটি’র যেখানে গোল করে ২.৩টি, সেখানে অলরেডদের প্রতি ম্যাচে গোলসংখ্যা ২.৬। একই চিত্র ডিফেন্সের ক্ষেত্রেও; দুই দলই এবারের মৌসুমে ১৮ ম্যাচ নিজেদের জাল অক্ষত রেখেছিল।

ম্যানসিটির ডিফেন্সের সবচেয়ে বড় নাম রুবেন দিয়াস ইনজুরির কারনে অনেক দিন ধরেই অনুপস্থিত। তবে লাপোর্তা, স্টোনস-রা বেশ ভাল ভাবেই ডিফেন্স এর দায়িত্ব সামলে যাচ্ছে। মিডফিল্ডে বরাবরই শক্তিশালী ম্যানচেস্টার সিটি। বার্নান্দো সিলভা, ফিল ফোডেন, গুন্দোয়ান এর মত ফুটবলার রয়েছে তাদের মিডফিল্ডে, বিশেষ করে কেভিন ডি ব্রুইনা একাই একটি ম্যাচের ফলাফল বদলে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন। উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজ রয়েছেন দারুন ফর্মে, সিটি’র আক্রমণ ভাগের নেতৃত্বও তাই থাকবে তার কাঁধে।

অন্যদিকে ভার্জিল ভ্যান ডাইকের নেতৃত্বে লিভারপুলের ডিফেন্স বরাবরই ঈর্ষনীয়। রবার্টসন, আর্নল্ড দের মত ফুলব্যাক তাদের প্রতিরক্ষা এবং আক্রমন উভয় ক্ষেত্রেই বাড়তি শক্তি দেয়। অধিনায়ক জর্দান হেন্ডারসন, ফ্যাবিনহো’রা রয়েছেন অলরেডদের মধ্যমাঠের সেনানী হিসেবে। আর আক্রমণে বিখ্যাত সালেহ-মানে জুটি তো আছেই, পাশাপাশি আছে কলম্বিয়ার লুইস দিয়াজ।

  • ম্যানসিটির সম্ভাব্য লাইনআপ

এডারসন, কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস, আয়মেরিক লাপোর্তে, জোয়াও ক্যান্সেলো, বার্নান্দো সিলভা, রদ্রি, ডি ব্রুইনা, রিয়াদ মাহরেজ, রাহিম স্টার্লিং, ফিল ফোডেন।

  • লিভারপুলের সম্ভাব্য লাইনআপ

অ্যালিসন বেকার, আলেক্সান্ডার আর্নল্ড, ভার্জিল ভ্যান ডাইক, মাতিপ, এন্ডি রবার্টসন, জর্ডান হেন্ডারসন, ফ্যাবিনহো, থিয়াগো আলকান্ত্রা, মোহামেদ সালাহ, সাদিও মানে, লুইস দিয়াজ।

শুধু মাঠে নয়, লড়াই হবে ডাগ আউটেও। দুই দলের ডাগ আউটে থাকবেন সময়ের সেরা দুইজন গুরু; পেপ গার্দিওলা এবং ইউর্গেন ক্লপ। প্রিমিয়ার লিগে হয়তো সেরা কোচের তালিকা করলে শীর্ষ দুইয়েই থাকবে তারা দুজন। ক্লপ এবং গার্দিওলা প্রিমিয়ার লিগে আসার পর লিভারপুল এবং ম্যানসিটির রাজত্ব চলছেই। ২০১৬-১৭ মৌসুমে শিরোপা জিতেছিল কন্তের চেলসি; এই মৌসুমটি বাদ দিলে বাকিটা সময়ে ম্যানসিটি এবং লিভারপুলের দাপট-ই চলছে। ফুটবল কোচিংয়ের ফেদেরার-নাদাল হয়তো তারা দুজন।

ক্লপ এবং গার্দিওলার মধ্যকার এটি ২২তম লড়াই হতে যাচ্ছে। এর আগের দেখায় উভয় কোচই ৯টি করে জয় পেয়েছেন। এবার এগিয়ে যাবে কে? শিরোপার পথেও বা এগিয়ে যাবে কোন দল? মাঠ ও মাঠের বাইরের রোমাঞ্চকর এক লড়াই দেখার অপেক্ষায় এখন ফুটবল বিশ্ব।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...