কানাডিয়ান কমেডি লিগের জমজমাট সার্কাস!

ব্যাঙের ছাতার মত বিশ্বব্যাপী গজিয়ে উঠেছে নানা রকম ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসর। আর এদের অনেকেরই মান নিয়ে আছে সংশয়। এই তালিকায় ওপরের দিকেই থাকবে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ।

কানাডার এই আসর তো এবার আইসিসির নিয়ম-নীতিকেই বুড়ো আঙুল দেখাল। আজব সব নিয়ম আবিস্কার করল। সেই নিয়ম মুহূর্তের মধ্যেই পাল্টে ফেলল। যেন এক সার্কাস চলছে। আর ভিনদেশি সেই সার্কাসের রিঙ মাস্টার সাকিব আল হাসান। একই সাথে বর্ণবাদ, কাট অফ টাইমে বাউন্ডারি ছোট করা – এমন সব গুরুতর অভিযোগও পাওয়া গেছে লিগটির বিরুদ্ধে।

এবার সেই সার্কাসের অন্দরমহলে প্রবেশ করা যাক। আবহাওয়াজনিত কারণে প্রথম কোয়ালিফায়ার বাতিল হয়। পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বর দল হিসেবে ফাইনালে চলে যায় মন্ট্রিল টাইগার্স।

একই ভাবে বাতিল হয় এলিমিনেটরও। ১০ ওভার বা পাঁচ ওভারের ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করা হলেও সেটা সম্ভব হয়নি। যদিও, এর আগে শেষ চেষ্টা করা হয়। সেখানে আবার আজব এক নিয়ম। বলা হয়, এবার সরাসরি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সুপার ওভারের মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

সাকিব বাংলা টাইগার্স মিসিসাউগার অধিনায়ক। মাতৃভূমির ঘোরতর দুর্যোগে টু শব্দ না করলেও এবার তিনি প্রতিবাদী। তিনি সুপার ওভার খেলতে রাজি নন, কারণ এটা আইসিসি রুল বুকে লেখা নেই। এমনকি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে টিম ম্যানেজারদের কাছে দেওয়া বাইলজেও এর কোনো উল্লেখ ছিল না।

সেই হিসেবে বাংলা টাইগার্স পয়েন্ট টেবিলে তিনে থাকার কারণে সরাসরি চলে যাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। কিন্তু, হেড টু হেডে এগিয়ে থাকায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয় টরন্টোকে। সাকিব তখন আবারও কথা বলতে যান ম্যাচ অফিসিয়ালদের সাথে। তাঁরা সাকিবের কথা শুনেননি।

রাতে টিম হোটেল থেকে যোগাযোগ করা হয় ক্রিকেট কানাডার সাথে। তারা বাংলা টাইগার্সকে পরদিন মাঠে আসতে বলেন, বলা হয়, এলিমিনেটর হবে। তবে, সেটা ১০ ওভারের ম্যাচ। এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ছিল সাকিবরা।

কিন্তু, এখানেই শেষ নয়। ক্রিকেট কানাডার নির্দেশেও মন গলেনি আয়োজকদের। ম্যাচ শুরুর এক ঘণ্টা আগে বলা হয়, বাংলা টাইগার্স এলিমিনেটেড। হেড টু হেডে টরন্টো জয়ী হওয়ায় তাঁরা গেছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে ফাইনালেও চলে গেছে টরন্টো ন্যাশনালস।

এই অবস্থায়, দলের প্রধান নির্বাহী জাফির ইয়াসিন চৌধুরী আয়োজকদের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আইসিসি ও ক্রিকেট কানডার কাছে অভিযোগ করব। তাঁদের বিরুদ্ধে লিগাল অ্যাকশন নেওয়া হবে। প্রথমত, তাঁরা খেলাটির কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনি, দ্বিতীয়ত আমাদের মানহানি করেছে। আমাদের সাথে তাঁদের ২০ বছরের চুক্তি। এই ম্যানেজমেন্ট না পাল্টালে, এই লিগে আমরা আর ফিরব না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link