আগের ম্যাচেই শেষ চার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের। তবে পয়েন্ট বাড়িয়ে সেরা দুই নিশ্চিত করতে শনিবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হয়েছিল দলটি। সে যাত্রায় প্রাথমিক ভাবে সফল হয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এবারের বিপিএলে টানা সাত ম্যাচ জয়ের স্বাদ নিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ইনিংসের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি চট্টগ্রামের। দলীয় ৬ রানের মাঝেই মেহেদী মারুফ আর খাজা নাফের উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে আরেক ওপেনার উসমান খানকে নিয়ে সাময়িক সে বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। দুজনে মিলে গড়েন ৮৮ রানের জুটি।
ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করে ৫২ রানে উসমান খান বিদায় নিলেও উইকেট আঁকড়ে ধরে রাখেন আফিফ। তবে চট্টগ্রামের মিডল অর্ডারে কেউই তেমন এ দিন আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। দলের অধিনায়ক শুভাগত হোমের ১২ রান করলেও জিয়াউর রহমান ও কার্টিস ক্যাম্ফার- দুজনেই ফিরেছেন শূন্য রানে।
অবশ্য শেষ দিকে দারউইস রাসুলির ঝড়ো ৯ বলে ২১ রানের সুবাদে ১৫৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন আফিফ হোসেন। আর কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান আলী ও তানভীর ইসলাম।
আগের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের ২১১ রানের বড় রান চেজ করে ম্যাচ জিতেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। তাই চট্টগ্রামের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য এ দিনে তাদের জন্য মামুলি ব্যাপারই মনে হচ্ছিল। তবে শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি কুমিল্লার। লিটন দাসের ইনজুরিতে একাদশে আসা সৈকত আলী ফিরে যান ১৫ রান করে। তিনে নেমে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও তাঁর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জনসন চার্লসও হেটেছেন ইমরুল, সৈকত আলীদের পথেই। ৯ রানে জিয়াউর রহমানের বলে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা তখন কিছুটা চাপে। তবে এমন সময়ে আশার আলো দেখাতে শুরু করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান আর মোসাদ্দেক হোসেন। দুজনে মিলে গড়েন ৭৬ রানের জুটি। আর এতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম।
ইনিংসের শুরু থেকে রয়েসয়ে খেললেও পরে চালিয়ে খেলতে শুরু করেন রিজওয়ান। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে নিহাদুজ্জামানের এক ওভারেই নেন ২০ রান। আর ঐ ওভারেই তিনি ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেন। মৃত্যুঞ্জয়ের বলে আউট হওয়ার আগে ব্যক্তিগত খাতায় জমা করেন ৬১ রান।
রিজওয়ান আউট হয়ে ফিরে গেলেও কুমিল্লার কোনো বিপদ ঘটতে দেননি মোসাদ্দেক। ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে।
এ জয়ের ফলে অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের অবস্থার কোনো রদবদল হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত ফরচুন বরিশালের সমান ৭ জয়ে শীর্ষ দুইয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে কুমিল্লার সামনে। আর অপর দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ভাগ্য বদল সহসায় হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচের ৮ হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকতে হচ্ছে তাদের।