আফিফ, জাস্ট অ্যা ফ্লিক
মুস্তাফিজ কঠিন পরীক্ষা নিতে চাইলেও আফিফকে থামানো যায়নি। মুস্তাফিজ, আফিফের লড়াইয়ে সেরাটা জয় পেলেন আফিফই। মুস্তাফিজ তখন নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসেছেন। আফিফ নিজের পায়ের সামনে পড়া বলটাকে চোখের পলকে ফ্লিক করে দিলেন। কী দৃষ্টিনন্দন ছয়টি রান। কত পরিচিত একটা ক্রিকেটীয় শট, তবুও মনে হচ্ছে কীসের যেন একটা তৃষ্ণা মেটালেন আফিফ।
আফিফ হোসেন ধ্রুব ও উসমান খানের জুটি তখন জমে উঠেছে। সেই জুটি ভাঙতে নিজের সেরা বোলারকেই নিয়ে আসলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক। মুস্তাফিজুর রহমানের চেয়ে ভালো এই কাজটা কেই বা করতে পারেন। তবে বাইশ গজে যে তখন থিতু হয়ে যাওয়া আফিফ ব্যাট করছেন। দেশের অন্যতম সেরা দুই ক্রিকেটারের লড়াইটা তাই বেশ জমে উঠল।
মুস্তাফিজ কঠিন পরীক্ষা নিতে চাইলেও আফিফকে থামানো যায়নি। মুস্তাফিজ, আফিফের লড়াইয়ে সেরাটা জয় পেলেন আফিফই। মুস্তাফিজ তখন নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসেছেন। আফিফ নিজের পায়ের সামনে পড়া বলটাকে চোখের পলকে ফ্লিক করে দিলেন। কী দৃষ্টিনন্দন ছয়টি রান। কত পরিচিত একটা ক্রিকেটীয় শট, তবুও মনে হচ্ছে কীসের যেন একটা তৃষ্ণা মেটালেন আফিফ।
কমেন্ট্রবক্স থেকে আসলো অবাক হয়ে আসা কতগুলো সুর। একজন ব্যাটার এতটা সুন্দর কী করে হতে পারেন। এতটা নিখুঁত টাইমিংই বা করেন কী করে। সেটা নিশ্চয়ই আফিফই ভালো বলতে পারবেন। তবে কুমিল্লার আর জুটি ভাঙা হল না।
উসমান খানকে তবুও পরে ফেরানো গিয়েছে। তবে আফিফকে ফেরানো যেন অসাধ্য হয়ে উঠল। মুস্তাফিজের পরীক্ষা এরপর আরেকবার নিয়েছেন আফিফ। তখন এই পেসার এসেছেন নিজের তৃতীয় ওভার করতে।
এবার আগের ওভার থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। পায়ের সামনে নয় এবার আর। অনেকটা মিডল স্ট্যাম্প বরাবর গুড লেন্থে বলটা ফেললেন। তবে এবার চোখের পলকে নিজের জায়গা বদলে ফেললেন। আবারো সেই ফ্লিক, আবারো সেই ছয়। আবারো মাঠ জুড়ে, হৃদয় জুড়ে কেবলই বিস্ময়।
এমনই অদ্ভুত সুন্দর সব শটে নিজের ইনিংসটা সাজিয়েছেন আফিফ। ধুঁকতে থাকা চট্টগ্রাম দলকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে এনেছেন। ছয় রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা চট্টগ্রামকে তুলে এনেছেন উসমান খানকে সাথে নিয়ে। দুজনে মিলে গড়েছেন ৮৮ রানের জুটি।
আফিফ নিজের ইনিংস যেমন করে সাজান ঠিক তেমনই। বিপদে দলের হাল ধরেছেন। মাটের গ্যাপ ব্যবহার করে রানের চাকা সচল রেখেছেন। এরপর সেট হয়ে গিয়ে কুমিল্লার বোলারদের উপর চড়াও হয়েছেন। এমনকি দলটার অন্যতম সেরা বোলার মুস্তাফিজকে রক্ষা দেননি।
বাঁ-হাতি এই পেসার চার ওভার বল করে খরচ করেছেন ৪৪ রান। যার অর্ধেকের বেশিই খরচ হয়েছে আফিফের কাছে। আফিফের এমন ইনিংসের পর চট্টগ্রাম করতে পেরেছে ১৫৬ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হয়েছেন হাসান আলীর বলে।
তবে তাঁর আগে খেলেছেন ৪৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। ব্যাটিং করেছেন ১৩৪.৬৯ স্ট্রাইকরেটে। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৬ টি চার আর মুস্তাফিজকে মারা সেই ২ টি ছয়। সব মিলিয়ে আফিফ আর উসমানের ব্যাটে চড়েই ম্যাচে ফিরেছে চট্টগ্রাম। জিততে হলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে করতে হত ১৫৭ রান।
এর আগে আফিফের সাথে চট্টগ্রামের হাল ধরেছিলেন উসমান খানও। পাকিস্তানের এই ব্যাটার ৪১ বল থেকে করেছেন ৫২ রান। উসমান আউট হয়ে যাওয়ার পর একাই লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন আফিফ। তবে শেষ দিকে আবার ছোট্ট একটা ক্যামিও খেলেছেন ডারউইশ রাসুলি। এই ব্যাটার ৯ বল থেকে করেছেন ২১ রান।