ধোনি বনাম কোহলি, প্রসঙ্গ আইপিএল অধিনায়কত্ব

নিজের প্রথম ১৪৩ ম্যাচে ধোনি দু'বার শিরোপা জিতেছিলেন, ফাইনাল খেলেছিলেন তিনবার। আর এসময় স্রেফ এক মৌসুম প্লে-অফে খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। কোহলির অবশ্য এত ভাল সময় কাটেনি; মাত্র চারবার প্লে-অফে খেলতে পেরেছিল তাঁর দল, যদিও রানারআপ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল তাঁদের দৌড়। উইনিং পার্সেন্টেজেও এগিয়ে ধোনি, ৫৮ শতাংশ ম্যাচ জিতেছেন যেখানে কোহলির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৪৬!

মহেন্দ্র সিং ধোনি আর বিরাট কোহলি – আধুনিক ক্রিকেটে ভারতের সবচেয়ে ইম্প্যাক্টফুল দু’জন অধিনায়ক। ধোনি তো অর্জনের স্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন ভারতকে, সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতেছেন তিনি। অন্যদিকে বিরাট ভারতকে এগিয়ে নিয়েছেন আধিপত্যের দিকে, তাঁর অধীনে ভারত অজেয় হয়ে উঠতে শিখেছে। কিন্তু আইপিএলে তাঁদের অধিনায়কত্ব কেমন কাটলো?

টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়েছেন ধোনি, ২২৬ বার টস করতে নেমেছিলেন তিনি। তবে কোহলি অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন ১৪৩ ম্যাচ শেষেই। তাই তুলনাটা সীমাবদ্ধ থাকবে এতটুকুতেই।

নিজের প্রথম ১৪৩ ম্যাচে ধোনি দু’বার শিরোপা জিতেছিলেন, ফাইনাল খেলেছিলেন তিনবার। আর এসময় স্রেফ এক মৌসুম প্লে-অফে খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। কোহলির অবশ্য এত ভাল সময় কাটেনি; মাত্র চারবার প্লে-অফে খেলতে পেরেছিল তাঁর দল, যদিও রানারআপ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল তাঁদের দৌড়। উইনিং পার্সেন্টেজেও এগিয়ে ধোনি, ৫৮ শতাংশ ম্যাচ জিতেছেন যেখানে কোহলির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৪৬!

নকআউট পর্বে এমএসডি আরো অপ্রতিরোধ্য, পুরো আইপিএল ক্যারিয়ারে মাত্র দুইবার সেরা চারের বাইরে থেকে মিশন শেষ করেছেন তিনি। টানা আট মৌসুম প্লে-অফে খেলার রেকর্ড আছে তাঁর, যদিও ফাইনালে হেরেছেন অনেকবার। এদিক দিয়ে কোহলি অবশ্য অনেকটাই ম্লান, সবমিলিয়ে চারবার নকআউট পর্বে খেলার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। এর মধ্যে জয় পেয়েছেন মাত্র দুই ম্যাচে!

দু’জনেই ব্যাটার, তাই অধিনায়ক হিসেবে রান করার প্রসঙ্গ চলে আসে। এই ক্ষেত্রে কোহলি যে এগিয়ে থাকবেন সেটা সবারি জানা, ১৪৩ ম্যাচে ৪৮৮১ রান করেছেন তিনি, ধোনির চেয়ে তাঁর প্রায় ১৫০০ রান বেশি। কিন্তু ব্যাটিং গড় আর স্ট্রাইক রেট আলোচনায় আসলে কিংবদন্তি এই উইকেটরক্ষককে আর পিছিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তাঁর ব্যাটিং গড় ৩৯.৪১ এবং স্ট্রাইক রেট ১৪০ যেখানে কোহলির গড় ৪২, স্ট্রাইক রেট ১৩৩।

অবশ্য দুই মহারথীর ব্যাটিং পজিশন আলাদা, তাঁদের দল আলাদা। তাই সংখ্যাতত্ত্বে কাউকে এগিয়ে রাখলে সেটা ক্রিকেটের মানদন্ডে গ্রহণযোগ্য নয়। বরং দু’জনের থেকেই নেতৃত্বগুণ আয়ত্ত করার দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত।

Share via
Copy link