‘কনকাশন সাব’, ক্রিকেটের গতিময়তার এই যুগে শব্দটা মোটেই নতুন নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বদৌলতে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে হরহামেশাই। তবে বিপিএলে যেন একরকম নতুনত্বের মোড়কেই ছিল কনকাশন সাবের এই নিয়ম। আগের নয় আসরে একবারই মাত্র এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে বিপিএল।
তবে দশম আসরে এসে আবারো কনকাশন সাবের দেখা মিলল ঢাকা-চট্টগ্রাম ম্যাচে। কনকাশন সাব হিসেবে নামলেন লাসিথ ক্রুসপুল্লে। শুধু নামলেনই না, ৪৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দিলেন লড়াই করার মতো পুঁজিও।
টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল দুর্দান্ত ঢাকা। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ঘটে দুর্ঘটনা। আল আমিন হোসেনের বল সরাসরি চিবুকে গিয়ে লাগে দানুশকা গুনাথিলাকার। ফিজিও অবশ্য ছুটে এসেছিলেন তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে। তবে কিছুক্ষণ বাদেই লঙ্কান ব্যাটারকে মাঠ ছাড়তে হয়। আর এর পরেই কনকাশন সাব হিসেবে লাসিথ ক্রুসপুল্লের নাম প্রকাশ করে ঢাকা।
কনকাশন সাব হিসেবে সেই আস্থার প্রতিদান দিতে ভুল করেননি ক্রুসপুল্লে। মাত্র ৩৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। ক্রুসপুল্লে যখন ক্রিজে আসেন, তখন ঢাকার রানরেট ছিল ৫ এরও কম। তবে সেখান থেকেই প্রতিরোধ গড়া শুরু করেন লঙ্কান এ ব্যাটার। শুরু থেকেই চট্টগ্রামের বোলারদের উপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন তিনি।
শুরুটা করেছিলেন শুভাগত হোমের বলে চার মেরে। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ক্রুসপুল্লের ব্যাট ততই ধারালো হয়েছে। মিডল ওভারগুলোতে ইরফান শুক্কুরের সাথে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। আর এতেই লড়াই করার পুঁজি পেয়ে যায় ঢাকা। আর তাতে ৩১ বলে সময়োপযোগী ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন ক্রুসপুল্লে। যে ইনিংস খেলার পথে ছিল ৩ টি চার ও ২ টি ছক্কার মার।
এর আগের বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম কনকাশন সাব হিসেবে নেমেছিলেন সিকান্দার রাজা। আন্দ্রে ফ্লেচারের বদলে নেমে সেদিন ২২ রান করেছিলেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটার। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে এ দিন ৪৬ রানের ইনিংস খেলে তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন ক্রুসপুল্লে। বিপিএলের ইতিহাসে কনকাশন সাব হিসেবে এখন সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তাঁর দখলে।