২০২৩ সালে এশিয়া কাপ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনই কাটছে না। আগেই জানা গিয়েছিল, এবারের এশিয়া কাপ হবে পাকিস্তানে। তবে তাতে বেঁকে বসে বোর্ড অব ক্রিকেট ফর কন্ট্রোল ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। নিরাপত্তা ইস্যু দেখিয়ে তারা জানিয়ে দেয় যে, পাকিস্তানে এশিয়া কাপ হলে ভারত তাতে অংশ নেবে না।
এশিয়া কাপের স্বাগতিক দেশ নির্বাচনে নতুন করে গত শনিবার মিটিংয়ে বসেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তবে তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি। বরং এ ইস্যু চলে গিয়েছে মার্চের পরবর্তী কাউন্সিল সভায়।
এসিসি’র বোর্ড সভাপতি জয় শাহ, যিনি আবার বিসিসিআই এর সাধারণ সম্পাদক, এ দিন আসন্ন এশিয়া কাপের জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যুর প্রস্তাব দেন। তবে তাতে বিরোধ প্রকাশ করেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি নাজাম শেঠি।
এক প্রকার হুমকি দিয়েই বলেন, ‘পাকিস্তানে হওয়া এশিয়া কাপে ভারত না গেলে আমরাও এ বারের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাব না।’ দুই পক্ষের এমন বিরোধের ফলে এক প্রকার অমীমাংসিত থেকেই এসিসির মিটিং শেষ হয়। কোনো সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোয় আপাতত পাকিস্তানের ভাগ্য ঝুলে রইল মার্চ পর্যন্ত।
এসিসির মিটিং শেষে গণমাধ্যমের সামনে এক প্রকার ক্ষোভই ঝেড়েছেন পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি। তিনি বলেন, ‘মিটিংয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তোলাই হয়নি। এমনকি কোনো সদস্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেন নি। গত ২০১৭ এবং ২০১৯ সাল মিলিয়ে দুইবার পাকিস্তান সফর করেছে শ্রীলঙ্কা। ২০২০ সালে বাংলাদেশও গিয়েছিল। আগামী ২০২৩-২০২৭ এর এফটিপি অনুযায়ী সব দল পাকিস্তান সফর করতে রাজি হয়েছে।’
মূলত পাকিস্তান সফরে দল গুলোর নিরাপত্তা ইস্যু আসতে শুরু করে ২০০৯ সালের পর থেকে। সে বছরে পাকিস্তান সফরে গিয়ে শ্রীলঙ্কা দল জঙ্গী হামলার শিকার হয়। শ্রীলঙ্কার টিম বাসের উপর ঐ হামলার পর বেশ কিছু বছর যাবৎ পাকিস্তানে ক্রিকেট বন্ধ ছিল।
শেষ ৫ বছরে পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে পিসিবি। সেই চেষ্টায় অনেকাংশেই সফল হয়েছে তারা। ভারত বাদে প্রায় সব দেশই এর মধ্যে পাকিস্তানে সিরিজ খেলেছে।
ভারত-পাকিস্তান বৈরীতা অবশ্য রাজনৈতিক। এর জেরে ২০১৩ সালের পর থেকে এই দুই দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়নি। আইসিসি কিংবা এশিয়া কাপের ইভেন্ট গুলোতেই এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল যা একটু মুখোমুখি হতে দেখা যায়। এখন দেখা যাক, এশিয়া কাপ আয়োজনে দুই দেশের মধ্যে এই বিরোধের সুর ঠিক কতটা দূর গড়ায়।