কী যে যন্ত্রনা, এই পথচলা!

এই বুকটায় কতো শত পারফরম্যান্স, কতো শত রেকর্ডের খেলা। এখানে পারফরম করে কতো জন নায়ক হয়ে যান। কিন্তু তার খোজ কেউ রাখে না। এবার আমরা সেই মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের সাক্ষাৎকার নিয়ে হাজির হয়েছি।

ভাই, কেমন আছেন?

আর থাকা! চোখের সামনেই তো দেখতে পাচ্ছ। সারা শরীরে খোচা খোচা কালো দাগ। এখানে ওখানে দেখো, চামড়া উঠে গেছে। যন্ত্রনায় রাতের ঘুমটা হয় না। অবশ্য ঘুমানোর সময়টাই বা পাই কখন? রাত দেড়টা-দুটো অবধি বুকের ওপর দাপাদাপি করে লোকেরা। আবার ভোর হওয়ার আগে শুরু হয় পানি দেওয়া, শরীরের ওপর দিয়ে রোলার টানা। বছরের পর বছর ধরে এই চলছে। টানা দুটো সপ্তাহ বিশ্রাম পাই না। এরপরও জিজ্ঞেস করলা, কেমন আছেন!

স্যরি, রাগ করবেন না। এখন তো একটু বিশ্রাম পাবেন। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শেষে কয়েকটা দিন তো বিশ্রাম আছে।

তাই ভেবেছ? জানুয়ারিতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসছে। এখানে ক্যাম্প হবে। এর মধ্যে আরও কতো কী খেলা হবে এখানে! এরা পারলে তো থার্ড ডিভিশনের খেলাও এখানে খেলাতো। যেখানে যা খেলা পায়, এখানে নিয়ে আসে। তোমাদের সাংবাদিকদের সাথে চ্যারিটি ম্যাচ, বিভিন্ন দূতাবাসের খেলাও আজকাল দেখি আমার বুকের ওপর। যাক গে, এসব বলে লাভ নেই। কী বলবো বলো।

আপনার গল্পটা একটু শুনতে চাচ্ছিলাম। আপনার বয়স তো বেশি না।

বয়স বেশি না, মানে কী বলছো! তোমাকে তুমি তুমি করে বলছি বলে রাগ করছো?

না, না। সেটা ব্যাপার না।

অবশ্যই ব্যাপার। তুমি তো আমার হাটুর বয়সী।

দেখেন, স্টেডিয়ামের হাটুর বয়সটা কেমন আমি ঠিক জানি না। তবে আপনার বয়স তো ১১ বছর। আর যদি পুরোনো স্টেডিয়াম ধরি, তাও আপনার বয়স হলো ২৯ বছর। আমার চেয়ে বছর সাতেকের ছোট। হা হা হা….।

এই হলো তোমাদের সাংবাদিকদের অবস্থা। তুমি এসেছ আমার গল্প শুনতে। অথচ আমার বয়সটাই জানো না। তুমি কী ভাবছ, ওই ১৯৮৭ সালে ইটকাঠের কাঠামো নির্মানেই আমার জন্ম? একটা কাঠামোতেই কী স্টেডিয়ামের জন্ম হয়? একটা স্টেডিয়াম তো একটা ইতিহাস। সে একদিনে তৈরী হয় না। তুমি তো বটেই, আমার বুকে খেলাধুলার ইতিহাস হয়তো তোমার বাবার বয়সের চেয়েও বেশি দিনের।

বলেন কী! আমি তো জানতাম, এখানে স্টেডিয়াম তৈরীর আগে আর কোনো ইতিহাস ছিলো না।

তোমরা তো ইতিহাস ব্যাপারটাকেই এভাবে আটকে ফেলেছ। ইতিহাস থাকবে না কেনো? মিরপুরে জনবসতি ছিলো, মানুষ ছিলো। ফলে খেলার মাঠও ছিলো। তখন মূল ঢাকার সাথে যোগাযোগ কম ছিলো। ঢাকার ইতিহাস যারা লেখে, তারা হয়তো পাত্তা দিতো না। কিন্তু এখানে খেলা হতো। ইনফ্যাক্ট এই পুরো মিরপুর এলাকায় যে কয়টা খোলা খেলার মাঠ ছিলো, তার একটা ছিলো আমার বুকের ওপর।

সেই সময়ের কথা বলেন একটু।

আচ্ছা। বসো, বলি। ঘাসের ওপরই বসো।

আপনার লাগবে না?

সারাদিন বুটের আঘাতে যখন কিছু লাগে না, একটু বসলে আর লাগবে না। শোনো, এখানে যে কবে থেকে ছেলেরা খেলে, আমিও আর মনে করতে পারি না। তবে তোমাদের যারা একটু সিনিয়র খেলোয়াড় বা সাংবাদিক আছে, তারা বলতে পারবে যে, তাদের ছোটবেলায় এখানে নিশ্চয়ই খেলা দেখেছে। একটা খোলা মাঠ ছিলো। সেখানে দুটো-তিনটে দল বেধে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা হতো। এই সামনে থেকে যে রাস্তাটা দেখছ, এটা ছিলো। মাঠের ছেলেরা খেলতো আর মাঝে মাঝে চোখ তুলে হঠাৎ হঠাৎ যেতে থাকা বাসের দিকে ফিরে তাকাতো। মাঝে মাঝে এই মাঠ থেকে ছেলেরা জোরে ছক্কা মারলে বাসের রাস্তায় চলে যেতো। বাসের কন্ট্রাক্টর বল কুড়িয়ে ফেরত পাঠাতো; তখন তো এতো গতির এতো বাস ছিলো না। লোকেদের হাতে সময় ছিলো। আহ। সে একটা সময় ছিলো!

এখানে বড় ম্যাচ হতো?

নাহ। এটাকে তো ওপাশের ঢাকার লোকজন অজ পাড়া গাঁ মনে করতো। তাই এদিকে বড় ক্লাবের ম্যাচ হতো না। তবে তোমাদের বুলবুল আছে না, ওই যে বড় ব্যাটসম্যান, ও আর ওর বড় ভাই এখানে খেলেছে। আরও কে কে যেনো খেলেছে, মনে নেই।

১৯৮৭ সাল অবধি এমন চলছিলো?

একটু খারাপ হয়ে এসেছিলো অবস্থা। আস্তে আস্তে আমার শরীর দখল হতে শুরু করেছিলো। তারপর তো ১৯৮৭ সালে এখানে স্টেডিয়ামই হয়ে গেলো। কয়েক বছর ধরে বুকের ওপর খোড়াখুড়ি, শরীর ভেদ করে রড ঢুকিয়ে এরা স্টেডিয়াম বানালো; ফুটবল স্টেডিয়াম, সাথে অ্যাথলেটিক ট্র্যাক।

ফুটবলের সেই সময়টা তো রমরমা ছিলো আপনার জন্য?

রমরমা বলতে, এখানেও একটা বৈষম্য ছিলো। ততোদিনে রোকেয়া স্মরণী হয়ে গেছে। তারপরও এখানে নাকি দর্শক হতো না। তাই বড় বড় ম্যাচ দিতো না। ফুটবলের বড় বড় খেলা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হতো। স্টেডিয়াম হিসেবে উনি তো আমার অনেক সিনিয়র; থাকেও শহরের মাঝখানে। তাই সেখানেই বড় খেলা বেশী হতো। এর মধ্যেও কিছু লিগ ম্যাচ, দু একটা আন্তর্জাতিক ক্লাব ম্যাচ পেতাম।

প্রথম ম্যাচের কথা মনে আছে?

কার কার ম্যাচ ছিলো, মনে নেই রে ভাই। তবে খুব গন্ডগোল হয়েছিলো। মোহামেডান ছিলো মনে হয়। মিরপুরে স্টেডিয়াম, প্রথম ম্যাচ; এলাকার লোক ভেঙে পড়েছিলো। পুলিশের লাঠি চার্জ করতে হয়েছিলো। জানো, এখনও এরকম হলে মনটা খারাপ লাগে। তোমরা সাংবাদিকরা, কর্মকর্তারা তো স্বার্থ নিয়ে আসো এখানে। কিন্তু দর্শকরা আসে ভালোবাসা থেকে। ওদের কষ্ট পেতে দেখলে আমরা মনটা খুব খারাপ হয়। যাক, আমার ইট-পাথরের মন। সে কথা বাদ দাও। কি যেনো বলছিলে?

প্রথম খেলার কথা।

হ্যাঁ, প্রথম বড় ম্যাচ ওই ১৯৮৭ সালেই হয়েছিলো। এশিয়া ক্লাব কাপের একটা গ্রুপের খেলা হয়েছিলো এখানে। বাংলাদেশের প্রতিনিধি ছিলো মোহামেডান। প্রথম ম্যাচ ছিলো শ্রীলঙ্কার একটা ক্লাব, স্যান্ডার্স বা এরকম কি যেনো নাম। সে ম্যাচে বড় কিছু হয়নি। পরের ম্যাচটার কথা মনে আছে। ইরানের পিরুজি ক্লাবকে হারিয়ে দিয়েছিলো মোহামেডান। সে নিয়ে খুব সোরগোল হলো, মিছিল হলো।

তাহলে ফুটবল আমলে সময়টা ভালো কেটেছে?

ধুর, ধুর। ১৯৯৩ সালে এখানেই মালদ্বীপের সাথে গোলশূন্য ড্র করলো বাংলাদেশ। তোমাদের কতো সিনিয়র সাংবাদিককেই তো বলতে শুনেছি, বাংলাদেশের ফুটবলের এই আজকের চ্যাপ্টারের সূচনা হয়েছিলো নাকি এখানেই, সেই দিনটাতে।

বাদ দেন, ফুটবলের কথা। ক্রিকেট স্টেডিয়াম হওয়ার গল্পটা বলেন।

সেটা তো ২০০৫ সালের ঘটনা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের কাছে ভালো শুনতে পাবে। ঘটনা তো ঘটেছিলো সব ওখানে। তারপরও যা শুনেছি, ফুটবল ওয়ালারা নাকি এখানে আর থাকতে চাচ্ছিলো না। এখানে লোক আসে না। তারা বললো, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামটা তাদের একার চাই। এর মধ্যে ওখানে কিন্তু টেস্টও হয়ে গেছে কয়েকটা; টেস্ট তো পাকিস্তান আমলেই হয়েছে। তারপরও ক্রিকেটের লোকজন মেনে নিলো। কারণ, তখন তো এনারা খুব শক্তিশালী ছিলো না। এ নিয়ে অনেক পানি ঘোলা হয়েছে।

মানে, আপনার ধারণা শক্তি থাকলে ক্রিকেট এখানে আসতো না?

তা বলছি না। ক্রিকেটে জনা কয়েক কর্মকর্তা ছিলো, তারা আবার আলাদা একটা ‘হোম অব ক্রিকেটের’ স্বপ্ন দেখতো। সে জন্য তারা খুশিই ছিলো এনএসসি এই বিশাল কম্পাউন্ড তাদের দেওয়ায়।

হোম অব ক্রিকেট কী হয়েছে?

শুরুটা সেরকম হয়েছিলো। দুনিয়ার সবচেয়ে আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম, গ্যালারি সংষ্কার, নানারকম প্ল্যান। যদিও আমার তখন একটানা মেজর সব অপারেশন সহ্য করার মতো অবস্থা। তারপরও শুরুটা দারুণ হয়েছিলো।

মাঠ কিভাবে বড় হলো? গ্যালারি তো আগে থেকেই ছিলো?

আচ্ছা। এটা মজার ব্যাপার। আগে মাঠটা হয়তো ৬০-৬৫ গজ ছিলো বাউন্ডারি। তখন মাঠ আরেকটু নিচু ছিলো। করা হলো কি, নিচের দিক থেকে পাচটা গ্যালারির ধাপ বাদ দিয়ে দেওয়া হলো। মাঠের চারপাশে সেই জায়গা ভেতরে নিয়ে আসা হলো।

একটু ড্রেনেজ সিস্টেমের কথা বলেন। এটা তো তখন বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ছিলো।

এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রযুক্তি ওটাই। সে তো এক এলাহী কান্ড। প্রথমেই ওই হার্ট অপারেশনের মতো আমার বুকের ওপর থেকে কয়েক ফুট মাটি তুলে ফেললো। এরপর পাথর আর ইটের খোয়া দিলো। তারপর বসালো জালের মতো পাইপ। এই পাইপে কয়েক গজ বাদে বাদেই ওপরের দিকে মুখ করা একটা করে সাকার। সেটা আবার বিশেষ ধরণের অপচনশীল কাপড় দিয়ে আটকানো। এর ওপর বালি আর ঘাস। এখন সুবিধা হলো যখন বৃষ্টি হবে, পানি কোথাও জমে থাকবে না। ঘাসের গোড়ার বালি দিয়ে চলে আসবে সাকারের মুখে। আর সেখান থেকে পাইপ হয়ে বাউন্ডারির বাইরের ড্রেনে।

এখনও সুন্দর কাজ করে এটা?

ঘোড়ার ডিম করে। ওই সিস্টেমের নব্বই ভাগই এখন অকেজো। বরং চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, ফতুল্লায় পরে ওই সিস্টেম বসানো হয়েছে। সেগুলো কাজ করে।

আপনারটা কাজ করে না কেনো? বয়স হয়ে গেছে?

তা তো গেছেই। সাথে মাঝে দুই বার কাঁচা হাতে মাঠের কাজ করতে গিয়ে সাকারগুলোর মুখ বন্ধ করে ফেলেছে। আবার বেশী বললে ঝামেলা। কোড অব কন্টাক্ট আছে তো। কিউরেটরের বিপক্ষে কিছু বলতে পারি না। তাও আবার বিদেশী কিউরেটর। বোঝোই তো।

হ্যা, কড়া মানুষ গামিনি ডি সিলভা। আমাদের জুতো পরে মাঠে ঢুকতে দেয় না।

তোমাদের না দিলে কী হয়, কর্মকর্তাদের ‘না’ বলতে পারে না। আবার এই যে বিপিএল নিয়ে যারা নাচল, তাদেরও মানা করেনি।

কর্মকর্তা আর ড্যান্সারদের নিয়েই আপনার রাগ। খেলোয়াড়রা তো বুট পরে মাঠে ঢোকে।

ওরে ভাই, তুমি আসলে একটু নির্বোধ। খেলোয়াড়দের বুট উল্টে দেখেছ; ওর নিচের স্পাইক মাঠে দৌড়ানোর জন্যই তৈরী হয়। ওতে ব্যাথা লাগে না, ঘাস-চামড়াও খুব একটা ওঠে না। আর একটু ব্যাথা পেলেই বা কী হবে। এই মাঠ, স্টেডিয়াম; সবই তো খেলোয়াড়দের জন্য। আজ যে কথা বলছি, তুমি কিছু করে খাচ্ছ; এ তো ওদের জন্য। ওরা আর মাঠকর্মীরা; এই তো আমার প্রাণ।

আপনার এখানে তো একসময় কনসার্টও হয়েছে। আমার মনে আছে এমফিস্ট নামে একটা কনসার্ট হয়েছিলো বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের সেরা ব্যন্ডগুলো নিয়ে।

এমফিস্ট নিয়ে আছ! এখনো তো কনসার্ট হয়। বিপিএলের নামে এখানে এসে হৃত্তিকরাও নাচে। এখনও তো রোজ নাম না জানা শিল্পীরা এসে গান করে। আমার অবশ্য জেমস-আইয়ুব বাচ্চু আসলে মনটা খুব ভালো হয়ে যায়।

বাচ্চু ভাই তো মারা গেছেন।

বলো কী! আমাকে কেউ বলেনি। আহারে, আমাদের বিগ বি!

আপনি গান-বাজনারও সমঝদার দেখা যায়। খেলায় থাকি আসেন।

খেলায় থাকতে দিলে কই? স্টেডিয়াম যেদিন থেকে শুরু হলো, এখানে ঘর করে করে দোকান ভাড়া দিয়ে দিলে। খেলা, না ভাড়া ব্যবসা; কোনটা করবে? আমাকে খেলা বুঝায়ো না।

তবু হোম অব ক্রিকেট বলে কথা?

এইসব গালভরা কথা বলে লাভ নেই। হোম অব ক্রিকেটের কী হয়েছে? এখানে আর্কাইভ হবে, মিউজিয়াম হবে, ক্রিকেট কালচার নিয়ে কাজ হবে; কিছু হয়েছে? হোম অব ক্রিকেট; হুহ। বেশী কথা বলাইও না। আবার জরিমানা খেতে হবে। সাথে ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট।

আচ্ছা। বাদ দিলাম। আপনি একটু খিটখিটে হয়ে গেছেন।

ভাই, আমি খিটখিটে হইনি। সারা বছর এতো খেলা, এতো খেলা; দুনিয়ার আর কোনো স্টেডিয়ামে কী হয়, বলো? শুধু আন্তর্জাতিক খেলার বিবেচনাতেই গত দশ বছর ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ত শিডিউলের স্টেডিয়াম আমি। এরপর ধরো, কোনো দেশের প্রধাণ স্টেডিয়ামে ছোটখাটো ম্যাচ হয় না। আমার একটা দিন বিরাম নেই। আন্তর্জাতিক ম্যাচ না থাকলে প্রিমিয়ার লিগ, এনসিএল, বিসিএল, বিপিএল, চ্যারিটি ম্যাচ, যুব দলের খেলা, অ্যাকাডেমির খেলা; কী হয় না বলো। পৃথিবীর কোনো মাঠকে এতো চাপ নিতে হয় না। আমি আর পারি না রে ভাই।

আচ্ছা, কষ্টের কথা অনেক হলো। এবার একটু আনন্দের কথা বলেন। স্টেডিয়াম হিসেবে আপনার প্রাপ্তি কী?

সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বাংলাদেশ জাতীয় দলের হোম বলে পরিচিতি পাওয়া। বিদেশী খেলোয়াড়রা যখন হাটতে হাটতে বলে, দেশটার প্রশংসা করে, সেটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। এক সাংবাদিক বলছিলো, এটা নাকি বিশ্বের অন্যতম সুন্দর স্টেডিয়াম। শুনতেও ভালো লাগে।

খেলার বিবেচনায় ভালো স্মৃতি কী?

টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরি, সাকিব আল হাসানের কতো রেকর্ড, বাংলাদেশের পরপর দুটো সিরিজে ভারত, পাকিস্তানকে হারানো। তবে সেরা স্মৃতি এই সেদিন ইংল্যান্ডকে হারানো। সেদিন যে কী আনন্দ পেয়েছিলাম।

কষ্টের কোনো ঘটনা?

এশিয়া কাপ ফাইনালে হার। মুশফিককে জড়িয়ে ধরে সাকিব যখন কাঁদছিলো, সইতে পারছিলাম না। জীবনে প্রথম মানুষ হয়ে না জন্মানোর জন্য কষ্ট হচ্ছিলো। উঠে দাড়াতে পারলে চোখ মুছিয়ে দিয়ে বলতাম, বীর যোদ্ধারা কাঁদেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link