কুন্ডের নেকলেস কাণ্ড

পোল্যান্ডের বিপক্ষে নক আউট পর্বের ম্যাচ তখন চলছে। এমন সময় গলায় চেইন পরিহিত অবস্থায় ফরাসি ফুটবলার জুল কুন্ডেকে দেখেন রেফারি। তৎক্ষনাৎ কুন্ডের গলা থেকে সেই চেইন খুলে নিলেও কোনো শাস্তি দেননি ম্যাচ অফিসিয়ালরা।

পোল্যান্ডের বিপক্ষে নক আউট পর্বের ম্যাচ তখন চলছে। এমন সময় গলায় চেইন পরিহিত অবস্থায় ফরাসি ফুটবলার জুল কুন্ডেকে দেখেন রেফারি। তৎক্ষনাৎ কুন্ডের গলা থেকে সেই চেইন খুলে নিলেও কোনো শাস্তি দেননি ম্যাচ অফিসিয়ালরা।

ফুটবলের আইন কানুন নির্ধারণ করা আইএফএবি এর ৪ নং ধারা অনুযায়ী, ‘কোনো খেলোয়াড় বিপদজনক কোনো সরঞ্জাম বা বস্তু পরিধান করতে পারবে না। সকল ধরণের জুয়েলারি পণ্য মাঠে পরিধান নিষিদ্ধ।’

যদিও খেলার ৪০ মিনিট অবদি ম্যাচ রেফারি বা ম্যাচ অফিসিয়ালদের কেউই কুন্দের এই চেইন লক্ষ্য করেননি। কিন্তু লক্ষ্য করার সাথে সাথে ম্যাচ অফিসিয়ালরা ফ্রান্স কোচিং স্টাফের এক সদস্যের সাহায্যে এই চেইন খুলে নেন।

এই ঘটনায় কুন্দের ওপর ক্ষুব্ধ ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশ্যম। ম্যাচ শেষে এ সম্পর্কে কোচ দেশ্যম বলেন, ‘আমি জানি না সেই নেকলেস এ কি আছে কিন্তু সে এই নেকলেস নিয়ে কিছুটা কুসংস্কারাচ্ছন্ন। ট্রেনিং সেশনেও সে এটি পরেছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না এই নেকলেস তার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ম্যাচ শেষে আমি তাকে বলেছি, তুমি খুব ভাগ্যবান যে সেই মুহুর্তে নেকলেসটি নিয়ে তুমি আমার সামনে আসোনি। খেলার সময় রেফারি এই চেইন লক্ষ্য করার সাথে সাথে আমাদের জানান যে কুন্দে যেন এটি খুলে নেন। আমি ড্রেসিংরুমেও তাকে এটি পড়তে দেখেছি, এমনকি মাঠে যাবার আগেও আমি এটি খুলে নিতে বলেছিলাম।’

দেশ্যম আরো বলেন, ‘ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী আপনি কোনো সানগ্লাস, ঘড়ি বা আংটি পড়ে খেলায় নামতে পারেন না। এটি নিয়মবহির্ভূত। আমি ভেবেছিলাম আমি বলার পর সে এটি খুলে রাখবে, কিন্তু সে রাখেনি। এটি তার এবং আমাদের ভুল। এমনটা আর হবে না।’ সংবাদ সম্মেলনের অনেকটা জুড়ে তাই দেশ্যম ক্ষোভ ঝেড়েছেন কুণ্ডের এই কাণ্ডে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...