যখন টাকা ছিল না, তখন শার্দূলকে জুতা কিনে দিতেন কুলকার্নি

নিজের জীবনে কিংবদন্তি এই পেসারের অবদানের কথা তুলে ধরেন শার্দূল ঠাকুর।

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন ধাওয়াল কুলকার্নি। তবে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা বেঞ্চে বসেই কাটানোর কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বিধাতা হতাশ করেননি তাঁকে, সতীর্থ মোহিত আভাস্তি ইনজুরিতে পড়ায় রঞ্জি ট্রফির ফাইনালের একাদশে জায়গা পান তিনি। ফলে এক যুগের বেশি সময় ধরে কুলকার্নির সঙ্গে বল করা শার্দূল ঠাকুর শেষবারের মত তাঁর সঙ্গে মাঠে নামেন।

স্বাভাবিকভাবেই এমন মুহুর্ত আবেগতাড়িত করেছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বেশি দুঃখের ব্যাপার তাঁর (কুলকার্নি) জন্য। আমারও একই অনুভূতি হচ্ছে, কারণ ছোটবেলা থেকে তাঁকে খেলতে দেখেছি আমি।’

তারপর নিজের জীবনে কিংবদন্তি পেসারের অবদানের কথা তুলে ধরেন এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘আমার বোলিংয়ের ক্ষেত্রে তিনি অনেক সাহায্য করেছেন। এমনকি যখন আমার টাকা ছিল না, তখন নিজেই আমাকে কয়েক জোড়া জুতা এনে দিয়েছেন। সবমিলিয়ে আমাকে তিনি অনেক বেশি সহযোগিতা করেছেন।’

রঞ্জির শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ অবশ্য এই ডানহাতি নিজের রঙে রাঙিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে করেছেন ৭৫ রান। তিনি যখন বাইশ গজে আসেন দলীয় সংগ্রহ তখন ছয় উইকেটে ১১১ রান। কিন্তু রক্ষণাত্মক না হয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন, ১০০ এর উপর স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন।

অন্যদের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে তাঁর এমন পারফরম্যান্স মুম্বাইকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিল। বল হাতেও দলের জন্য অবদান রেখেছেন এই তারকা। এর আগে সেমিফাইনালে তামিলনাড়ুর বিপক্ষে সেঞ্চুরি এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। সবমিলিয়ে দারুণ একটা সময় পার করছেন।

নিজের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, আমি সবসময়ই কঠিন পরিস্থিতিতে খেলতে ভালোবাসি। আমার জীবনে অনেক কঠিন কাজ করেছি। সেসব অভিজ্ঞতা আমাকে আরো শক্তিশালী করেছে। যখনই আমি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই তখন লড়াইয়ের মানসিকতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...