সেই নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল মনে থাকলে, দীনেশ কার্তিককেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মনে রাখতে বাধ্য। তিনিই তো সেবার শেষ দুই ওভারে ভারতের জিততে যখন ৩৪ রান দরকার তখন পাল্টে দেন পাশার দান। আট বলে তাঁর করা ২৯ রানের ইনিংসটা ভারতের ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে গিয়েছে। অন্তর পোড়ানো সেই কার্তিককে বাংলাদেশের ক্রিকেটার কিংবা সমর্থক ভোলে কি করে!
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আগামী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। আর ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অন্তত এটুকু জানা যাচ্ছে যে, ম্যাচটাতে উইকেটরক্ষক এই ব্যাটারের খেলার সম্ভাবনা খুবই কম।
বয়সের বিবেচনায় ভারতীয় দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কার্তিক পিঠে চোট পান। রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। ভারতীয় দল সূত্রের খবর হল অ্যাডিলেডে তাঁর বাংলাদেশের বিপক্ষে না থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
যদিও, তাতে বড় কোনো আফসোস থাকার কথা নয় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। কারণ, চলতি আসরে ভারতের হয়ে তেমন একটা রান পাচ্ছেন না কার্তিক। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওভারে দলকে বিপদে ফেলে আউট হয়ে যান।
এরপর পার্থে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণের বিপক্ষে ধুঁকেছেন কার্তিক। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সুরিয়াকুমার যাদবের সাথে মিলে ৫২ রানের জুটি অবশ্য গড়েন। তাতে ১৫ বলে কার্তিকের অবদান মোটে ছয় রান। বাউন্স আর স্যুইংয়ের বিষে একদমই তাল রাখতে পারছিলেন না তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিয়ের সময় পিঠে ব্যাথা অনুভব করেন তিনি। ফিজিও তখনই মাঠে নেমে যান। ফিজিওর টোটকায় অবশ্য লাভ হয়নি। কোমড়ে হাত দিয়ে কাতড়াতে কাতড়াতে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন কার্তিক। তখন ১৫ তম ওভারের খেলা শেষ হয়েছে কেবল।
এই ইনজুরিটার বৈশিষ্ট্য হল, মাত্রাতিরিক্ত শীতে এটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। পার্থে প্রচণ্ড শীত ছিল। তাই, মানিয়ে নিতে পারেননি কার্তিক।
কার্তিকের সতীর্থ ভূবনেশ্বর কুমার ইনজুরির খবর নিশ্চিত করেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ওর পিঠে কিছু একট সমস্যা হয়েছে। ফিজিও দেখেছে, এখন রিপোর্ট আসলে আমরা এই ব্যাপারে আরও ভাল ভাবে জানতে পারবো।’
কার্তিক না খেললে একাদশে ফিরবেন ঋষাভ পান্ত। এই বিশ্বকাপে এখন অবধি মাঠে নামাই হয়নি ভয়ডরহীন এই ব্যাটারের। অনেক ক্রিকেট বোদ্ধাই পান্তকে বিশ্বকাপে দেখতে উন্মুখ হয়ে আছেন।
বুধবার ভারতের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। মানে এখনও সেরে ওঠার জন্য সময় আছে কার্তিকের। সমস্যা হল, এই শরীর নিয়ে আবার ভ্রমণ করে যেতে হবে অ্যাডিলেডে। ফলে, কার্তিক যে খেলবেন না সেটা অনেকটা চোখ বুজেই বলা যায়।