এক ওভারে চার উইকেটের নাটকীয়তা!

শেষ ওভারের নাটকীয়তার মুহূর্তেই বদলে গেল চিত্র। ইফিতিখার হোসেন ইফতির করা এক ওভারেই ঢাকা মেট্রো হারাল চার চারটি উইকেট। ওপেনিং জুটিতে ১৭৭ আসার পরেও ইনিংস শেষ হলো ছয় উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রানে। যার টার্নিং পয়েন্টটা ইফতির করা ওই ২০ তম ওভারই।

শেষ ওভারের নাটকীয়তার মুহূর্তেই বদলে গেল চিত্র। ইফিতিখার হোসেন ইফতির করা এক ওভারেই ঢাকা মেট্রো হারাল চার চারটি উইকেট। ওপেনিং জুটিতে ১৭৭ আসার পরেও ইনিংস শেষ হলো ছয় উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রানে। যার টার্নিং পয়েন্টটা ইফতির করা ওই ২০ তম ওভারই।

ঢাকার দুই ব্যাটার সাদমান ইসলাম আর মাহফিজুল ইসলাম রবিন যেন এদিন আগ্রাসনের প্রতিমূর্তি হয়ে বাইশ গজে নামলেন। শুরু থেকেই তাণ্ডব চালালেন সমান তালে। প্রথম দশ ওভার থেকেই এলো ৯১ রান। শতক ছাড়িয়ে দুজনের জুটি পার করলো দেড়শ রানের গণ্ডি।

বরিশালের বোলাররা একেবারেই দিশেহারা তখন। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে বল তুলে দেওয়া হলো ইফতির হাতে। ইনিংসের ১৮ তম ওভারে পার্টটাইম বোলার হিসেবে এসেই তুলে নিলেন উইকেট। ৭৯ রান করা রবিনকে বানালেন নিজের শিকার। ঠিক তাঁর পরের বলে ফেরালেন আবু হায়দার রনিকে।

তবুও একপ্রান্তে গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়ে সাদমান। ২০০ রানের সীমানা পার হওয়ার লক্ষ্যে এগচ্ছিল তার ব্যাট। ইফতি এবারও টেনে ধরেন লাগাম। সাদমানকে সাজঘরের পথ দেখান ওভারের দ্বিতীয় বলেই। পরের বলে রান আউটে কাটা পড়েন তাহজিবুল ইসলাম।

পঞ্চম বলে আবারও আনিসুল ইসলামকে নিজের শিকার বানান, আর শেষ বলে আবারও রান আউটে কাটা পড়েন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। অর্থাৎ চার উইকেট আসে ওই ওভারে। তাতেই ঢাকার স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র চার রান। ইফতি দুই ওভারে দশ রান দিয়ে একাই শিকার করেন চার উইকেট। ঢাকার থেমে যায় ১৯৭ রানে।

তাতে অবশ্য বরিশালের ভাগ্য খোলেনি। ১৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে একেবারেই ছন্নছাড়া ব্যাটিং করেছে সবাই। ঢাকার বোলিং তোপে টিকতে না পেরে শেষ পর্যন্ত গুটিতে গেছে মাত্র ১০১ রানে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link