বোলিং চ্যানেলের সন্ধানে কাটছে এবাদতের দিনরাত্রি

ঠিক কবে নাগাদ ফিরবেন সেই পুরনো এবাদত? এই প্রশ্নের জবাবটা এবাদতই হয়ত দিতে চাইছেন। কিন্তু কাজটা সহজ নয়।

রেড চেরি হাতে এবাদত হোসেন। কয়েক কদম দৌড়ে বল ছুড়ছেন। মূলত বোলিং চ্যানেল ঠিক করাতেই তার সমস্ত মনোযোগ। তাকে যে ফিরতে হবে পুরনো ছন্দে। টিকে থাকতে হবে পেসারদের স্বাস্থ্যকর লড়াইয়ে।

প্রায় দুই বছর পর কলম্বোতে টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন এবাদত হোসেন। হাঁটুর ইনজুরি তার ক্যারিয়ারের মূল্যবান দু’টি বছর কেড়ে নিয়েছে। এরপর তিনি যখন ফিরেছেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই জৌলুসে খানিক ভাটা পড়েছে। কলম্বো টেস্টে তিনি ছিলেন উইকেট শূন্য।

১৪ ওভার বোলিং করেও লঙ্কান ব্যাটারদের পরাস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এবাদত। তার ক্যালিবারের সাথে এই ঘটনা ভীষণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি মাঠে নামবেন, উইকেট তুলে নেবেন। সফেদ জার্সিতে তিনি তো প্রতিপক্ষের ত্রাস ছিলেন। বলের মুভমেন্টে তুলতেন প্রতিপক্ষের নাভিশ্বাস।

কিন্তু ওই যে পেসারদের জীবনের চির শত্রু ইনজুরি তার সেই ভয়ংকর রুপে ভাটার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শ্রীলঙ্কা টেস্টের আগে, বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়েও মাঠে নেমেছিলেন চার দিনের ম্যাচে। অপেক্ষাকৃত অনভিজ্ঞ দলটার বিপক্ষেও উইকেট খরা কাটিয়ে উঠতে পারেননি এবাদত। দুই ইনিংসে বল করে মোটে একটি উইকেট বাগিয়েছিলেন তিনি।

এর আগে অবশ্য ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ১৭টি উইকেট বাগিয়েছিলেন তিনি ১২ ম্যাচে। তবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য স্পষ্ট হয়েছে বহুবার। এবাদতের ইনজুরি পরবর্তী সময়টাও আবার সেই পার্থক্য পরিষ্কার করেছে।

ছন্দহীন এবাদত তাই নিজের পুরনো রুপে ফিরতে ভীষণ মরিয়া। মিরপুর একাডেমি মাঠে তাই তো কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত এবাদত। জাতীয় দলের অধিকাংশ ক্রিকেটার যদিও রয়েছেন বিশ্রামে। এবাদত তার প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে মিরপুর মাঠের পাশে থাকা একাডেমি ভবনেই শিফট হয়ে গেছেন। অনুশীলনে ব্যঘাত যেন না ঘটে।

ঠিক কবে নাগাদ ফিরবেন সেই পুরনো এবাদত? এই প্রশ্নের জবাবটা এবাদতই হয়ত দিতে চাইছেন। কিন্তু কাজটা সহজ নয়। ইনজুরি থেকে রিহ্যাব, এরপর অস্ত্রপচার, তারপর আবার রিহ্যাব সেশন কাটিয়ে- ছন্দ ফিরে পাওয়া বেজায় কঠিন।

Share via
Copy link