পুরো ক্রিকেট দুনিয়া এখন বিশ্বকাপ জ্বরে আক্রান্ত। কোন দল জিতবে, কে উঠে আসবে লাইমলাইটে সেসব নিয়ে সারাদিন যত আলোচনা; একটু একঘেয়ে লেগে ওঠাই স্বাভাবিক। তাই এবার ঘুরে আসা যাক মাঠের বাইরে থেকে – পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা কে কতটুকু পড়াশোনা করেছেন সেটা জানার চেষ্টা করি আজ।
পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজম খুব বেশিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছোটাছুটি করেননি। বিভিন্ন সূত্রমতে, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁর ডেপুটি শাদাব খানের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। মোহাম্মদ রিজওয়ানের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এক্সিকিউটিভ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছিলেন তিনি।
তবে দুই ওপেনার ইমাম উল হক আর ফখর জামান উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। ইমামের ব্যবসায় বিভাগ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে, তিনি লাহোরে স্নাতক শেষ করেছিলেন অন্যদিকে ফখর জামান পাকিস্তান নৌ-বাহিনীতে নাবিক হিসেবে চাকরিও করেছিলেন। এর আগে পাকিস্তান নেভি স্কুলে ছিলেন এই বাঁ-হাতি। আরেক ব্যাটার ইফতেখার আহমেদও নিজের স্নাতক শেষ করার পরে ক্রিকেটে পা বাড়িয়েছিলেন।
পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি বালক বয়সে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর ক্রিকেটের প্রতি নেশার কারণে দূরত্ব বাড়ে পড়াশোনার সাথে। তাই তাঁর শিক্ষাদীক্ষা নিয়ে তেমন কিছু জানা সম্ভব হয়নি। আরেক পেসার হারিস রউফ অবশ্য ইসলামাবাদ মডেল কলেজে পড়েছিলেন।
এছাড়া তরুণ সালমান আলী আঘা স্কুল লাইফও শেষ করতে পারেননি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে থাকাকালীন ড্রপ আউট হয়েছিলেন তিনি। মোহাম্মদ নওয়াজের ভাগ্যও অনেকটা একই, তবে তিনি বাদ পড়েছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় থেকে।
যাহোক, ক্রিকেটারদের জন্য পড়াশোনা আনুষঙ্গিক ব্যাপার। ছোটবেলা থেকেই তাঁদের ধ্যান-জ্ঞান থাকে ব্যাট আর বল নিয়েই। তবু যারা ক্রিকেটের পাশাপাশি বাড়তি শ্রম দিয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যা অর্জনে, তাঁরা নি:সন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।