অভিজ্ঞতার বিরুদ্ধে পারফরম্যান্সের লড়াই

খেলা ৭১-এর সাথে আলাপকালে এই ওপেনার জানিয়েছেন জাতীয় দলে ঢুকতে পারফরম্যান্স দিয়েই জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ওপেনারদের সাথে লড়াই করতে চান তিনি। ইমন মনে করেন ধারাবাহিক ভাবে পারফরম করলেই সুযোগ আসবে তাঁর।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দিয়ে আলোচনায় আসেন পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়া বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে চোখ ধাঁধানো সেঞ্চুরি করে আগমনী বার্তার বেলুন উড়িয়েছেন আকাশচুম্বী। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও মোহামেডানের হয়ে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছেন এই ওপেনার।

কিন্তু ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেও এখনো জাতীয় দলের দরজা খুলতে পারেননি তিনি। যেখানে গত ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তারই সতীর্থ শরিফুল ইসলামের ও আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি।

এই দুজন সুযোগ পেলেও ইমনকে জাতীয় দলে ঢুকতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে দলের সিনিয়র ওপেনারদের সাথে। তামিম ইকবালের সাথে এই তালিকায় রয়েছেন লিটন দাস, নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার। এছাড়া টেস্ট দলে রয়েছেন সাইফ হাসান ও সাদমান ইসলাম অনিক।

খেলা ৭১-এর সাথে একান্ত আলাপকালে এই ওপেনার জানিয়েছেন জাতীয় দলে ঢুকতে পারফরম্যান্স দিয়েই জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ওপেনারদের সাথে ফাইট দিতে চান তিনি। ইমন মনে করেন ধারাবাহিক ভাবে পারফরম্যান্স করলেই সুযোগ আসবে তার।

এই ওপেনার বলেন, ‘জাতীয় দলে ঢুকতে হলে আমি মনে করি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পারফরম করতে হবে। তারা যেহেতু অনেক অভিজ্ঞ তো তাদের সাথে পারফরম্যান্স করেই ফাইট নিতে হবে। এটা ছাড়া সম্ভব না।’

সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ১৪ ম্যাচে ১১৯.৫৬ স্টাইকরেটে ২৩.৫৭ গড়ে ৩৩০ রান সংগ্রহ করে ছিলেন ইমন। অনেক ম্যাচেই উইকেটে থিতু হয়েও সেটা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ইমন জানিয়েছেন ইনিংস বড় করতে কাজ করার ইচ্ছে আছে তাঁর। তবে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট এই ওপেনার।

ইমন বলেন, ‘আমার মাঝখান দিয়ে একটু অফ ফর্ম গেছে। ওখানে যদি একটু ভালো করতাম আমার রান আরো অনেক বেশি হতো। যে টুকু হইছে আলহামদুলিল্লাহ একদম খারাপ হয়নি। মাঝখানে কয়েকটা ম্যাচ ভালো যায়নি। তো ওখানে কিছু রান হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘কাজ করার সুযোগ নেই এখন। আমার কাজ করার ইচ্ছে আছে ইনশাআল্লাহ। আমাদের যে কোচ রয়েছে তাদের সাথে কথা বলবো কি করলে আরো ভালো করা যাবে ও ইনিংস গুলো বড় করা যাবে।’

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে তাঁর করা ৪২ বলের সেঞ্চুরিটি বাংলাদেশের সব ধরণের ক্রিকেটে দ্রুততম। এছাড়া প্রায় সময়ই আক্রমণাত্মক খেলতে দেখা যায় তাকে। তবে এই ওপেনার জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টি নিয়ে আলাদা কোন পরিকল্পনা নেই তাঁর। তিন ফরম্যাটের জন্যই প্রস্তুত হচ্ছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলাদা কোন পরিকল্পনা নেই। আমার ভালো লাগে টি-টোয়েন্টি খেলতে। আমার আলাদা পরিকল্পনা নেই যে আমি শুধু টি-টোয়েন্টিই খেলবো। আমি প্রস্তুত হচ্ছি তিন ফরম্যাট খেলার জন্য।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...