বিশ্ব আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়া শেষ তিন ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। তারপরও বাংলাদেশকে হুমকি মনে করতে নারাজ ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জশ বাটলার। ধর্মশালায় বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে এমনটাই জানিয়েছেন ইংলিশ কাপ্তান।
তাঁর মতে, বিশ্বকাপে খেলতে আসা প্রতিটি দলই কঠিন। বাংলাদেশকেও তাঁরা সেভাবে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন বাটলার। তবে বাংলাদেশকে নিয়ে তাঁরা তেমন চিন্তিত নয়।
এ প্রসঙ্গে বাটলার বলেন, ‘না। মোটেই না। বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা এর আগে দারুণ কিছু ম্যাচ খেলেছি। ওরা ভালো দল। আর আমরা যাদের বিপক্ষে খেলি, তাদেরকে সমীহ, সম্মান দিয়েই খেলতে নামি। বিশ্বকাপে তো সব প্রতিপক্ষই কঠিন। তাই এটা নিয়ে আলাদা করে ভাবার কিছু নেই।’
এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের শুরুটা একদমই ভাল হয়নি। ডিডেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের আসরের শুরু হয়েছে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটের হার দিয়ে। এ দিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ তুলে নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ।
দুই দলের এমন বিপরীত চিত্র ম্যাচে প্রভাব ফেলবে কিনা এমন প্রশ্নে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেন, ‘দুই দলেরই মাত্র একটা করে ম্যাচ শেষ হয়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, গত ম্যাচের হার ভুলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। আমরা আগের ম্যাচের চেয়ে অবশ্যই আগামী ম্যাচে ভাল দল। তাই ভালো খেলার অপেক্ষাতেই আছি।’
এ ছাড়া ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড ও উইকেট নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টি জানিয়ে বাটলার বলেন, ‘আমার মতে, এটি খুবই বাজে ব্যাপার। আপনার দলের ফিল্ডার ডাইভ দিতে গিয়ে যদি দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে, তাহলে তো সমস্যা। কারণ যেমন আউটফিল্ড তাতে যে কারো ইনজুরি হতে পারে। আর তেমন কিছু হলে সেটি দলের জন্য আর খারাপ হবে। অবশ্য এই মুহূর্তে এটি নিয়ে বেশি কিছু বলারও নেই।’
এর আগে ইংল্যান্ডের আরেক ক্রিকেটার লিয়াম লিভিংস্টোন বাংলাদেশকে যথারীতি উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ধর্মশালার ছোট মাঠে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের দিকেই চোখ রাখবে। জশ বাটলারও এদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশকে তেমন আলাদা প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করেননি।
সব মিলিয়ে বুঝাই যাচ্ছে, প্রথম ম্যাচ হেরে ইংলিশ শিবিরে জয়ের ক্ষুধাটা বেড়েছে বহুগুণে। তবে ইংলিশদের এমন হুমকির প্রতিফলন মাঠে ঘটবে কিনা তার দেখা মিলবে কয়েক ঘন্টা বাদেই। আগামীকাল সকাল ১১ টায় ধর্মশালায় মুখোমুখি হবে এ দুই দল।